কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিশালকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। বছর কুড়ির ওই যুবক শীতলা মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে জামা-প্যান্ট বদলে এক বন্ধুর সঙ্গে গোঁসাইঘাট এলাকায় রাস্তার ধারে বসেছিলেন। সেই সময় ঘুসুড়ির দিক থেকে একটি মোটরবাইকে তিনজন এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে স্থানীয়দের দাবি। অল্পের জন্য বিশালের কয়েকজন বন্ধু রক্ষা পান। বিশাল সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। পুলিস এসে স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিস। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আততায়ীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশালের এক আত্মীয় তথা প্রতিবেশী বাবুলাল মাহাত বলেন, গত একমাস ধরে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিশালের গোলমাল চলছিল। অভিযোগ, সে-ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বছরখানেক আগে বিশালের বাবা বিজয় মাহাতকেও গুলি করে খুন করা হয়। সেই খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন বিশাল। তাঁর বাবার খুনি এখনও ধরা পড়েনি, অথচ তারমধ্যেই খুন হয়ে গেলেন বিশাল। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে
দেখছে পুলিস। এলাকার বিভিন্ন দুষ্কৃতীর সঙ্গে বিশাল ও তাঁর বাবার ওঠাবসা ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। দুষ্কৃতীদের নিজস্ব কোনও রেষারেষি এর পিছনে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। কিন্তু শীতলামায়ের স্নানযাত্রা চলাকালীন নিরাপত্তার এতখানি কড়াকড়ির মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এরকম ঘটনা ঘটায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিসের এক পদস্থ কর্তা জানান, ঘটনার সময় শীতলামায়ের স্নানযাত্রা নিয়ে বেশিরভাগ পুলিসকর্তা ও কর্মী ব্যস্ত ছিলেন। তবে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত ধরার চেষ্টা হচ্ছে।