গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুনীতি অ্যাপার্টমেন্টে মোট ছ’টি পরিবারের বাস। তারমধ্যে দু’টি ফ্ল্যাটে থাকে অ্যাপার্টমেন্টের মালিক ও তাঁর পরিবার। বাকি চারটি ভাড়া দেওয়া রয়েছে। বছর তিনেক আগে আবাসনটি তৈরি হয়। আবাসনের বাসিন্দারাই বলছেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের নজর এড়িয়ে একজন মহিলা ঢুকলেন কী করে? শুধু তাই নয়, তিনি সরাসরি পাঁচতলার ছাদেও উঠে গেলেন? এই সব প্রশ্নই ঘুরছে গোটা পাড়ায়। ওই আবাসনেই চারতলার ‘৪এ’ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন নীরজ খান্না। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তবে কেউ ছাদে উঠেছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আবাসনের নীচে শোরগোলের শব্দ পান। ব্যস, ওইটুকুই। শীতের রাত বলে জানালা খুলে দেখেননি নীচে কীসের গোলমাল। তিনি বলেন, ‘রাত পৌনে ২টো নাগাদ পুলিস কলিং বেল বাজায়। অত রাতে বাড়িতে পুলিস আসায় স্তম্ভিত হয়ে যাই। তাঁরাই জানান, আমাদের বাড়ির ছাদ থেকে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন। তারপর আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা।’ নীরজ বলেন, অফিসের কাজে মাঝেমধ্যেই আমাকে শহরের বাইরে থাকতে হয়। সেই সময়ে বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে থাকে। এভাবে যে কেউ বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়লে তো সর্বনাশ। ‘আজ অপরিচিত এক মহিলা ঢুকে আত্মহত্যা করছেন। কাল তো দুষ্কৃতীও প্রবেশ করতে পারে। চুরি-ডাকাতি কিংবা অন্য কোনও বিপদও হতে পারে।’ এই ঘটনার পর ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক প্রতিবেশী বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কেউ এই পাড়ায় ঢুকে পড়ছে। পুলিসের টহলদারির দাবি করেছেন তাঁরা।
নিরাপত্তারক্ষী অরূপ মিশ্র বলেন, আমার ঘর বাড়ির পিছন দিকে। সদর দরজার কাছে সবসময় বসে থাকা সম্ভব হয় না। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমি আবাসনের সমস্ত আলো এবং মূল দরজা বন্ধ করে দিই। তবে ছাদের দরজা আমাদের সবসময় খোলা থাকে। রাত ১০টা ২০ মিনিটে একতলার সিঁড়ির আলো নেভানোর সময় রাস্তায় কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ পাই। নীচে নেমে দেখি এক কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।