বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কল্যাণী শহরের আইটিআই মাঠে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘বিশ্বশান্তি মহাযজ্ঞানুষ্ঠান’। বড় প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল দু’দিন ধরে। যজ্ঞ দেখতে সকাল থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হন। সারি সারি ১০টি হোমকুণ্ড তৈরি করা হয়েছিল। আগে থেকে বরাত দিয়ে মোট ৮০০ কেজি বেলকাঠ নিয়ে আসা হয়েছিল। আহুতি দেওয়ার জন্য এক কুইন্টাল দেশি গাওয়া ঘি নিয়ে আসা হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০০ জন অভিজ্ঞ পুরোহিতকে আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৫ জন যজ্ঞ করেন। বাকিরা তাঁদের সহযোগী। সকাল থেকে প্রায় বিকেল পর্যন্ত যজ্ঞ চলে। যুব তৃণমূলের দাবি, এতবড় যজ্ঞ এর আগে কল্যাণী শহরে হয়নি। বহু মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সপরিবারে যজ্ঞ দেখতে আসেন। কল্যাণী শহর যুব তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মহাযজ্ঞ যাঁরা দেখতে এসেছিলেন, তাঁদের জন্য পংক্তিভোজেরও আয়োজন করা হয়। তার জন্য রান্না হয়েছিল গরম গরম খিচুড়ি। সঙ্গে বাঁধাকপির তরকারি। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষকে খাওয়ানো হয়।
অন্যতম উদ্যোক্তা দেবাশিস হালদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় শান্তি বিরাজ করছে। বাংলার সংস্কৃতি, প্রাচীন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। বিজেপি সেটাকে নষ্ট করতে চাইছে। মোদি হোক কিংবা নাড্ডা, বিজেপি নেতারা বাইরে থেকে বাংলায় এসে একটা অশান্তির পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের উস্কানিতে বহু জায়গায় অশান্তি হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তাই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন, যাতে বিজেপির অশুভ শক্তির প্রভাব বাংলায় না পড়ে। সকলে ঈশ্বরের কাছে বাংলার কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি।