বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কথিত আছে, শ্যামপুরের রতনপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর নদীপথে বাণিজ্য করতে যাওয়ার সময়ে আজ থেকে প্রায় ৫৬০ বছর আগে বণিক চাঁদ সওদাগর ও বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদের উদ্যোগে রতনপুর গ্রামে দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। জনশ্রুতি, ঘনশ্যামপুরের এক পূজারি লালপাড় শাড়ি পরিহিত তাঁর মেয়ে রতনকে নিয়ে দেবীর কাছে পুজো দিতে আসেন। পুজো দেওয়ার আগে ছোট্ট মেয়েকে মন্দিরে বসিয়ে পূজারি মন্দির লাগোয়া পুকুরে হাত পা ধুতে যান। কিন্তু মন্দিরে ফিরে আর মেয়েকে দেখতে পাননি তিনি। চারিদিক খোঁজাখুজি করার পরে শেষে তিনি মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত মায়ের মূর্তির মুখে তাঁর মেয়ের পরনের শাড়ির আঁচল দেখতে পান। পূজারির ধারণা হয়, মা তাঁর মেয়েকে নিয়ে নিয়েছেন। তারপর থেকেই রতনপুর গ্রামের ওই মাতৃমূর্তি রত্নমালা দেবী হিসেবে পরিচিত হন।
মন্দিরের পূজারি সীতানাথ রায় জানান, দেবী রত্নমালাকেই এখানে বিশালাক্ষী, দুর্গা ও কালী রূপে পুজো করা হয়। তিনি জানান, দেবীর নাম রত্নমালা হওয়ায় গ্রামের কারো নাম রতন বা রত্না রাখা হয় না। এমনকী গ্রামে রত্নমালা দেবী থাকায় অন্য কোন দেবী মূর্তির পুজোও হয় না। অন্য সব ক্ষেত্রেই ঘট পুজো করা হয়। এই মন্দির সংস্কার প্রসঙ্গে প্রণবেশ কয়াল জানান, মা রত্নমালার স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরেই সকলের সাহায্যে এই মন্দির সংস্কারের উদ্যোগ নিই। প্রাচীন এই মন্দিরের উন্নতিকল্পে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক পুলক রায়।