কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বৃদ্ধাকে বসে থাকতে দেখে হ্যাম রেডিওকে ফোন করেছিলেন সোমনাথ ঘোষ নামে ওই চিকিৎসক। ১১টার পর তাদের তরফে অর্ণব রায়চৌধুরী এবং দেবদত্তা মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে ওই বৃদ্ধাক শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড়ে থাকা পুলিসের কিয়স্কে আশ্রয় দেওয়া হয়। সুধারানিদেবীর সঙ্গে গল্পের ছলে তাঁর বাড়ির ঠিকানা, কেন এখানে এসেছেন ইত্যাদি জানার চেষ্টা করা হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় এই সংস্থার সদস্যরা জানতে পারেন, পারিবারিক বিবাদের জেরে শনিবার সকালে সরশুনার বাড়ি থেকে এখানে চলে আসেন তিনি। কোনওভাবেই বাড়ি যেতে নারাজ। উল্টে তাঁর প্রতি অন্যায়ের বিচার চাইছেন তিনি।
এরপরই শুরু হয় ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া। সরশুনা থানা, শ্যামপুকুর থানা, এমনকী লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে এই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়। গভীর রাতে সুধারানিদেবীর বাড়ি চিহ্নিত করতে সফল হন হ্যাম রেডিওর সদস্যরা। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। রাত প্রায় ২টো নাগাদ ওই বৃদ্ধার নাতি এসে শ্যামপুকুর থানা থেকে ঠাকুমাকে বাড়ি নিয়ে যান। হ্যাম রেডিওর কর্তা অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, আমরা পুলিসকে বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছি। ফের যাতে এমন বাড়িছাড়া না হতে হয়, তার জন্য পুলিসের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বৃদ্ধা।-নিজস্ব চিত্র