কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মাঝেমধ্যেই দেখা যায় বিয়েবাড়ি, শ্রাদ্ধবাড়ি সহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের সকলে না আসায় অনেক খাবার বেঁচে যায়। তখন উদ্বৃত্ত অনেক খাবার ফেলেই দিতে হয়। বাড়তি সেসব খাবার সংগ্রহ করে দুঃস্থদের মুখে তুলে দিলেন একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার বসিরহাটের ময়লাখোলার বাসিন্দা অরূপ সাহার ও নবদ্বীপের অদিতি সাহার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানের পর কিছু খাদ্য বেঁচে যায়। এরপর পাত্রপক্ষ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নব প্রচেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সংস্থার সদস্যরা চটজলদি খাদ্যগুলি সংগ্রহ করেন। এরপর সেসব প্যাকেটজাত করে বুধবার সকালেই নব প্রচেষ্টা টিম খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পাড়ি দেয় শহর থেকে সামান্য দূরে সংগ্রামপুরের ইডেন ইটভাটায়। সেখানে অসহায় ৭০ জন শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় খাদ্যসামগ্রী। অর্ধাহার-অনাহারে থাকা শিশুরা বহুদিন পর মাটন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, লুচি-আলুর দম পেয়ে বেজায় খুশি। তৃপ্তি ভরে খেল ওরা। খাদ্যের অপচয় রোধ হল।
সংস্থার চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম মিল্টন বলেন, আমাদের সংস্থা বিয়ে বা যে-কোনও অনুষ্ঠানের বেঁচে যাওয়া খাবার সংগ্রহ করে নিকটবর্তী গরিব মানুষের মুখে তুলে দেবে। যে-কোন অনুষ্ঠানের পর খাবার বেঁচে গেলে নষ্ট না করে, ফোন করুন প্রচেষ্টার নম্বরে। যত রাতই হোক আমাদের ভলান্টিয়াররা ছুটে যাবেন আপনাদের দরজায়, আর খাবারগুলো পৌঁছে দেবেন কিছু ক্ষুধার্থ মানুষের মুখে। খাদ্যের অপচয় সারা বিশ্বের বড় সমস্যাগুলোর একটি। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ, সমাজের এই কল্যাণমূলক কাজে দয়া করে এগিয়ে আসুন।