পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের বাসিন্দা উত্তমবাবু রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তাঁর স্ত্রীর নাম তানিয়া ঘোষ। উদ্ধিত ছাড়াও দম্পতির এক বছরের এক শিশুকন্যা রয়েছে। রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা ভালোই চলায় তাঁদের সংসারে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু লকডাউনের সময় থেকে ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ব্যবসা শুরু হলেও বেচাকেনা ভালো হচ্ছিল না। তার উপর বাজারে অনেক টাকা দেনা থাকায় উত্তমবাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে তাঁর হিমশিম পরিস্থিতি হয়। এদিন দুপুরে তানিয়াদেবী মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। উদ্ধিতকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন উত্তমবাবু। দুপুর ২টো নাগাদ তানিয়াদেবী বাড়ি ফিরে দরজার গ্রিলে তালা লাগানো দেখেন। নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে তিনি ওই তালা খোলেন। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় তিনি স্বামী ও ছেলেকে ডাকাডাকি শুরু করেন। বারবার ডেকেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে উত্তমবাবুকে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশের খাটে অচেতন অবস্থায় উদ্ধিত পড়েছিল। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।এই দৃশ্য দেখার পর শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন তানিয়া। মাঝেমধ্যে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ছেন। চোখের জল সামলে তানিয়াদেবী বলেন, ব্যবসা একেবারে চলছিল না। বাজারে ধারদেনাও হয়েছিল। আমার বাপের বাড়ি থেকেও সাহায্য করেছিল। আমরা দু’জনে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে অনেক আলোচনাও করেছিলাম। কিন্তু ও আচমকা আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। ছেলেটাকেও শেষ করে দিল। কী কারণে ও এমন করল, বুঝতে পারছি না। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও পুলিসকে আর্থিক সমস্যার কারণে এই ঘটনা বলে জানিয়েছেন। যদিও পুলিস দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন কিংবা পারিবারিক সমস্যা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে।