দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিধানসভায় প্রস্তাব এনে নতুন আইন প্রণয়ন করে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। বিধানসভায় এর বিরুদ্ধে বিতর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র। তিনি সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রতিবাদে সরকার সেই সময় কর্ণপাত করেনি। আমরা বলেছিলাম, বালি পুরসভার একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে। তাছাড়া বালি-বেলুড় এলাকার মানুষের পক্ষে হাওড়া পুরসভায় যাতায়াত করাও অসুবিধাজনক। ওই এলাকার কোনও নাগরিক গোটা পুরসভাকে হাওড়া কর্পোরেশনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার দাবি কখনও করেননি। ছ’বছর আগে শুধু রাজনৈতিক কারণেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। এখন যে পদক্ষেপ নেওয়া হল, সেটিও রাজনৈতিক কারণে। আসলে মানুষের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি কখনও। হাওড়ার আরেক কংগ্রেস নেতা শুভ্রজ্যোতি দাস বলেন, আমরা যে ঠিক বলেছিলাম, তা মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার করব। বালি-বেলুড়কে সামনে রেখে তাঁরাও যে প্রচারে নামবেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা ঘোষণা দেখে নিয়েই প্রচারের কৌশল সাজাব। সরকারকে এই কারণে ফের আইন বদল করতে হবে। তারপর এনিয়ে হাজারো প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তৃণমূলকে। দু’টি পুরসভাকে মিলিয়ে দেওয়ার পিছনে কী যুক্তি ছিল, তাতে কার কার লাভ হয়েছিল, এখন আবার কেন আগের জায়গায় ফিরতে হচ্ছে— এসব প্রশ্ন তুলেই আমরা মানুষের কাছে যাব।
বিজেপিও বলছে, এই সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হয়েছিল, আর এখন কেনই তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন বিধানসভা ভোটের আগে ওই এলাকায় অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। তবে বিরোধীদের সমালোচনাকে পাত্তা দিতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, মানুষের ইচ্ছাকে তৃণমূল বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। মানুষের মতামতকে মর্যাদা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বালির মানুষ সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে এই পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত শহরাঞ্চলে যে অন্যতম ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।