বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হয়নি। এমনই অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ। এদিকে, আগামিকাল, ২৩ জানুয়ারি এই হেরিটেজ বাড়িটি সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে করোনা আবহের কারণে একেকবারে পাঁচজনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হবে না।
প্রতি বছরই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে তাঁর পৈতৃক ভিটের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে যাবতীয় উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে নেতাজি কৃষ্টি কেন্দ্র ঠিক করেছে, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই বাড়ির দরজা খোলা রাখা হবে দর্শকদের জন্য। তবে অবশ্যই একসঙ্গে সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অন্যান্যবার উৎসাহী দর্শকের সংখ্যা কম থাকে না। এই বিশেষ দিনে নেতাজির পৈতৃক ভিটেকে ছুঁয়ে দেখার বাসনা থাকে অনেকেরই। করোনাকালে সেই আবহ ফিরে আসবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল এই ভিটে দেখভালের দায়িত্বে থাকা নেতাজি কৃষ্টি কেন্দ্র।
কৃষ্টি কেন্দ্রের সদস্য তথা রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখেই দর্শকদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। তার আগে পুরো চত্বর সাফসুতরো করা হয়েছে। বাড়ির ভিতরের অংশ স্যানিটাইজ করা হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত দু’ঘণ্টার বিশেষ অনুষ্ঠান হবে ওই বাড়িতে।
নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে আসছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরে নানা অনুষ্ঠানও হচ্ছে। অথচ, নেতাজির পৈতৃক বাড়ির দোতলায় যে বারান্দা রয়েছে, তার ছাউনির একাংশ উড়ে গিয়েছে উম-পুনে। ভাঙা টালিগুলি সরিয়ে দেওয়া হলেও নতুন টালি বসানো হয়নি। জন্মদিবসের আগে কেন সারানো হল না, প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসবেন এই বাড়ি দেখতে। আর ঢুকেই যদি ছাউনি-ভাঙা বারান্দা দেখেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর হবে না।
মেরামতির প্রসঙ্গে পল্লববাবু বলেন, এই নিয়ে পিডব্লুডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে তারা যদি এই কাজ করতে না পারে, তাহলে আমরা পুরসভার তরফে তা করে দেব। যদি এই বাড়ি দেখভালের দায়িত্ব পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়, তাহলে একে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে আমাদের। সোনারপুরে নেতাজির নামে যে জমি রয়েছে, তার সামনের অংশ পুরসভা ঘিরে দিয়েছে। পিছনের অংশটি এখন খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।