পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাম-কংগ্রেসের বিগত বৈঠকেই রাজ্যে মোট ১৩০টি আসনে লড়ার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু এত আসন যে কংগ্রেসকে এবার ছাড়া যাবে না, তা সেদিনই ঠারেঠোরে তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাম নেতারা। কিন্তু বাম নেতৃত্বের মনোভাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে সেই ১৩০টি আসনের নামের তালিকাই পাঠিয়ে দিলেন অধীর। এই তালিকায় গত বিধানসভার ভোটে বামেদের লড়া একাধিক কেন্দ্রের নাম রয়েছে। এমনকী তালিকায় সিপিএমের জেতা কয়েকটি আসনও রয়েছে। অধীরের এই তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে বাম শিবির। তবে এই আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক। বড় শরিক হিসেবে সিপিএম নেতৃত্ব বাকিদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করবে। আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো মেজ শরিকদের মেজাজ বিশেষভাবে বুঝতে চান বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। বিমানবাবুরা ঠিক করেছেন, শরিকদের কিছু আসন ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি মেটাতে গিয়ে শরিকদের স্বার্থ সম্পূর্ণ জলাঞ্জলি দেওয়া হবে না। তাই শরিকদের সঙ্গে আলোচনার উপর অনেকটা নির্ভর করছে জোটের ভবিষ্যৎ।
জানা গিয়েছে, এই তালিকা পাঠানোর আগে দুই কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দিন দুই ধরে আলোচনা করেন অধীর। কিন্তু মান্না-প্রদীপ যে পরামর্শ দিয়েছেন, তা পুরোপুরি মানেননি অধীর। বরং ঘনিষ্ঠ জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে নিজের একটি আলাদা তালিকা তৈরি করেন প্রদেশ সভাপতি। সিপিএম দপ্তরে সেই তালিকাই পাটিয়েছেন তিনি। মান্নানদের কাছে সে খবর পৌঁছেছে। তাঁদের না জানিয়েই চূড়ান্ত তালিকা পাঠানোয় কংগ্রেসের মান্নান-প্রদীপ শিবিরও বেশ অসন্তুষ্ট। তাদের বিষয়টি হাইকমান্ডকেও জানিয়ে রেখেছেন। বস্তুত, মান্নান-প্রদীপ প্রথম থেকেই এত আসনে লড়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। তাঁদের মূল বক্তব্যই ছিল, কংগ্রেসের যা সাংগঠনিক শক্তি, তাতে খুব বেশি হলে ১০০ আসনে লড়াটাই সমীচীন হবে। এই অবস্থায় জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারাও সন্দিহান। প্রদেশ সভাপতি জোটের ব্যাপারে সত্যিই কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রশ্নও উঠেছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে জোটের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখতে পারছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।