কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, ২০১০ সালে ভালোবাসা করেই সৌমেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমার। আমাদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। বিয়ের পর আমরা আমাদের উত্তর কলকাতার বাড়িতেই থাকি। সৌমেন জানায়, বাড়ির লোক এই বিয়ে না মানায় আমরা এখন থেকে এই বাড়িতেই থাকব। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সল্টলেকের বাড়িতে গিয়ে উঠব। বিয়ের আগে ও নিজেকে সিবিআইয়ের অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়। একটি পরিচয়পত্রও দেখায়। আমি সরলমনে তা বিশ্বাস করি। বিয়ের পর সৌমেন মাঝেমধ্যেই বাড়ি ফিরত না। বলত, কাজের সূত্রে বাইরে যেতে হচ্ছে।
নমিতাদেবী বলেন, প্রতারণা ফাঁস হয় ২০১৯ সালের পর। সেই বছর আগস্ট মাসে সৌমেন আমাকে জানায়, কাজের সূত্রে আন্দামানে যেতে হবে। কিন্তু দু’মাস হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। খোঁজখবর করতে গিয়ে জানতে পারি, সৌমেনের স্ত্রী রয়েছেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। আমি সল্টলেকের সিজিও কমপেক্সে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে বলা হয়, ওই নামে কেউ এখানে চাকরি করে না। আমি সৌমেনের পরিচয়পত্র দেখালে তারা জানায়, ওই পরিচয়পত্রটি ভুয়ো। তখনই বুঝতে পারি আমি প্রতারিত হয়েছি। সব কিছু লুকিয়েই আমাকে বিয়ে করেছে ও। যা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের সাব ইনসপেক্টর বলে যে পরিচয় দিয়েছিল, তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই মহিলার অভিযোগ, পরে ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। এমনকী, ফোন করলেও ধরত না। মহিলার আইনজীবীর বলেন, এই ঘটনার পর আমার মক্কেল পুরো বিষয়টি কলকাতা পুলিসের ডিসি (নর্থ) এবং বড়তলা থানাকে জানান। এই মর্মে অভিযোগও জমা দেন। কিন্তু পুলিসের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ন্যায় বিচারের আশায় নমিতাদেবী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিন কোর্টের নির্দেশ আমাদের কিছুটা হলেও অক্সিজেন জুগিয়েছে। এদিকে, যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, আদালতের নথি থেকে পাওয়া সৌমেন দাসের সেই মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে উল্টোদিক থেকে শোনা যায়, ‘যে নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন, সেটি ইনভ্যালিড’। সেই ভুয়ো পরিচয়পত্র।