বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাস তিনেকের মধ্যেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী এবং সেই সঙ্গে শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ঠান্ডা লড়াই চলছে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের গুণীজনের অপমানের প্রশ্নে তিনি যে এক চুলও জমি ছাড়বেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। চিঠি পাঠিয়ে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতি বজায় রাখতে বিজেপি বিরোধিতা তীব্র করে শান্তিনিকেতনের পথে মিছিলও করেছেন মমতা। সেই ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যেই এই পার্কের উদ্বোধন অন্য বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যখন অমর্ত্য সেনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তীর্যক মন্তব্য করছে, তখন তাঁর সম্মানে নামাঙ্কিত উদ্যানের উদ্বোধন করছে কলকাতা পুরসভা।
৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে পল্লীশ্রী মোড় থেকে হাঁটা পথে মিনিট দেড়েক এগলে দেখা মিলবে এই পার্কের। এক বিঘা জমির উপর এই উদ্যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বহু বছর ধরেই এই খোলা জায়গা কার্যত ভ্যাট হয়ে উঠেছিল। পুরনো একটি স্কুল বাড়ি ছিল। পরে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই এখানে ময়লার স্তূপ জমছিল। সেই সঙ্গে ওখানে রয়েছে একটি করুণাময়ী কালীমন্দির। রাতে নানা অসামাজিক কাজকর্মও চলে বলে অভিযোগ। এই জায়গাতেই প্রায় ২২ লাখ টাকা খরচ করে এই পার্ক তৈরি করেছে পুরসভা। সেই সঙ্গে করা হয়েছে মন্দিরের সংস্কার। পার্কে শিশুদের জন্য থাকছে পৃথক জায়গা, সেখানে থাকছে খেলনাও। এছাড়া পথচলার জন্য আলাদা ওয়াক ওয়ে। বসার জায়গা, নানা ধরনের বাহারী গাছ এবং আলোয় নতুন রূপ পেয়েছে জায়গাটি। পার্কের দেওয়ালে মনীষীদের ছবি এঁকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র