কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সঞ্জীব খুনে ধৃত রবি দত্ত এবং মন্টু দাসকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী পুলিস অফিসার। কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইএসডি) অজয় প্রসাদ এই খবর জানিয়েছেন। স্বভাবতই এই খুনের কিনারা হতেই শোরগোল পড়েছে পুলিস মহলে। কেননা, এমন তুচ্ছ কারণে কেউ কাউকে খুন করতে পারে, তা ভাবতে পারছেন না গোয়েন্দারা। পুলিস অবশ্য জানিয়েছে, ধৃতদের এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রবিবার ভোর সওয়া চারটে নাগাদ বছর তিরিশের সঞ্জীবের রক্তাক্ত দেহ মেলে বাইপাস সংলগ্ন স্বভূমির লাগোয়া সার্ভিস রোডে। রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন সঞ্জীব দাস। খবর পেয়ে, ফুলবাগান থানার পুলিস ওই যুবককে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সঞ্জীবের দেহ শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। পরে সঞ্জীবের দাদা টুকাই দাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ফুলবাগান থানার পাশাপাশি লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা।
প্রথম থেকেই এই রহস্যজনক খুনের পট-পরিবর্তন হয়েছে ক্ষণে ক্ষণে। বিভ্রান্ত হয়েছেন গোয়েন্দা থেকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকও। সঞ্জীবের সর্বাঙ্গে ঘষটে যাওয়ার মতো ক্ষত দেখে প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দাদের মনে হয়েছিল, কোনও দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, গুলি করে খুন করা হয়েছে যুবককে। কিন্তু শরীরে বুলেট মেলেনি। বুধবার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, পাথরের চাঁই দিয়ে তারা খুন করেছে সঞ্জীবকে। ফলে গুলি করে সঞ্জীবকে খুন করার বিষয়টি কার্যত ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।
সাম্প্রতিককালে বালিগঞ্জে আবেশের রহস্যমৃত্যু ছাড়া এভাবে গোয়েন্দাদের ঢোঁক গিলতে হয়নি।