বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেতুর অনুমোদন মিলেছে। শেষ হয়েছে টেন্ডারের কাজ। সেতুর বরাত পাওয়া সংস্থা কাজ শুরু করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে বারেবারে যোগাযোগ করছে। গ্রামবাসীদের একাংশ চাইছে, দ্রুত শুরু হোক সেতু তৈরির কাজ। এদিকে, সেতুর কাজ শুরু করলে বন্ধ রাখতে হবে খালের জল। চাষের ভরা মরশুমে জলের অভাবে সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা। ডাকাতিয়া খালের দু’পাশে কয়েক হাজার একর চাষের জমির জল জোগান দেয় এই খাল। কৃষকদের এই সমস্যার কথা ভেবে আলুর মরশুম পার হলে কাজ শুরুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা এই নিয়ে কিছুটা দ্বিধায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রঘুনাথ সানা বলেন, এলাকার অনেকেই চাইছেন দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হোক। কিন্তু কাজ শুরু হলে বন্ধ রাখতে হবে জল। সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা। তাই কৃষকদের কথা ভেবে কিছুদিন পরে কাজ শুরু করলে ভালো হয়।
তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতু। অনুমোদন হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ। বরাত পাওয়া সংস্থা কাঁচা মাল ফেলার জন্য বারে বারে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু সেতু তৈরি করতে হলে বন্ধ রাখতে হবে খালের জল। আলু চাষের ভরা মরশুমে জল বন্ধ থাকলে কয়েক হাজার একর জমির কৃষক সমস্যায় পড়বেন। কৃষকদের কথা ভেবে সকলকে অনুরোধ করব, কিছুদিন ধৈর্য ধরতে। আলু গাছে জল দেওয়া শেষ হলে শুরু হবে সেতুর কাজ। ৮ ফুট ৪ ইঞ্চি চওড়া, ৭০ ফুট লম্বা সেতু তৈরির খরচ পড়ছে ৫০ লাখ টাকা। এই খালের উপরই তৈরি হবে সেতু। -নিজস্ব চিত্র