বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৯ তারিখ কোমরের হাড় ভেঙে বেহালার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন মহেশতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শান্তি সিনহা। ভর্তি হওয়ার পর থেকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আগামী দিনে তাঁকে অন্যত্র ভর্তি করতে হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে বাড়তি খরচ হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে শান্তিদেবীর এক আত্মীয় ১৫ জানুয়ারি পুরসভায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেন। বৃদ্ধার অবস্থার কথা জেনে পুরসভার তরফে সোমবারই জেলার স্বাস্থ্যসাথী সেলে খবর দেওয়া হয়। এরপর এক মিনিটও দেরি করেনি তারা। জেলা থেকেই স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নিয়ম মত এই কার্ডের জন্য আবেদন করার পর স্বাস্থ্যভবন থেকে একটি ইউআরএল নম্বর তৈরি করে পাঠানো হয়। জরুরি ভিত্তিতে সেই নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এদিন সকালেই হাসপাতালে বায়োমট্রিক যন্ত্র নিয়ে হাজির হন সরকারি আধিকারিকরা। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে সেখানেই কার্ড তুলে দেওয়া হয় ওই বৃদ্ধার হাতে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যসাথী সেলের সদস্য দীপনকুমার বাগ বলেন, আমরা খবর পাওয়ার পরই বৃদ্ধার হাতে এই কার্ড তুলে দেওয়ার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। এই প্রসঙ্গে পুরসভার বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যাতে এই কার্ড পায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া একজন অসুস্থ বৃদ্ধা কার্ড পেয়েছেন, এটা পুরসভার কাছে গর্বের। -নিজস্ব চিত্র