সংবাদদাতা, বারুইপুর: বিজেপি একটা সার্কাস পার্টির দল। যার যখন মনে হচ্ছে, তখনই সে জোকার সেজে রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। বাংলার মহিলারাই এই যাযাবর দলকে শিক্ষা দেবে। রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর আগে ওরা কুঁড়ি তো ফোটাক। ওরা ২০০ আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। প্রতি বুথে ২০০ করে কর্মীই নেই। বিজেপিকে এভাবেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে ক্যানিং রেল ময়দানে এক জনসভায় এসে এই কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বিজেপি-বর্গীদের আটকাতে হবে। ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করতে হবে। পদ্ম ফোটার আগেই বাংলার মাটিতে পদ্মের সলিল সমাধি হবে। ওরা বলছে, চারদিকে যোগদান মেলা হচ্ছে। মেলা নয়, খেলা হচ্ছে। বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই রাজ্যে। কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিচ্ছে না। রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকার বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। হাজারো উন্নয়ন চলছে বাংলায়। তিনি বলেন, আমাদের কিছু ভুল থাকতে পারে। কারণ, আমরা কাজ করি। যাঁরা কাজ করেন না, তাঁরা সমালোচনা করেন। এক ঝাঁক নেতা প্লেনে করে এসে বাংলা দখলের ছক কষলেও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী সহ অন্যরা। এদিন যুব তৃণমূলের ডাকা সভায় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ও ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী না থাকায় দলের মধ্যে গুঞ্জন দেখা যায়। পাশাপাশি, এদিনই ক্যানিং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অর্ণব রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও এই নিয়ে মহাসচিবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কে এল আর কে গেল, দলের তাতে কিছু এসে যায় না। অন্যদিকে, শিশির অধিকারীর মেদিনীপুরের জনসভায় না আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পায়ে ব্যথা, তাই তিনি আসতে পারেননি।
ক্যানিং রেল ময়দানে তৃণমূলের জনসভায় বক্তব্য রাখছেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। -নিজস্ব চিত্র