গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নতুনপাড়ার একটি মন্দির লাগোয়া এই পুকুরটি। তার চারদিকের পাড় বাঁধানো। অথচ তিন-চারদিন ধরে পাড় বাঁধানোর নাম করে পুকুরের একটি অংশ মাটি ফেলে বুজিয়ে দেওয়ার কাজ চলছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই রুখে দাঁড়ান এলাকাবাসীরা। সরব হন ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর মোজাফ্ফর আহমেদও। খবর দেওয়া হয় থানায়। অভিযোগ, সেখান থেকে পুলিসকর্মীরা এলেও পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অগত্যা থানার আইসিকে বিষয়টি জানানো হয়। তখন কাজ হয়। শনিবার রাতে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৈধ কাগজপত্র না দেখানো পর্যন্ত এখানে কোনও কিছু করা যাবে না বলে থানার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পুকুর ভরাটের অভিযোগ বারুইপুর পুলিস জেলার সুপার সহ বিভিন্ন পদস্থ কর্তাদের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কো-অর্ডিনেটর বলেন, পুকুরের চারপাশে গার্ডওয়াল থাকার পরেও সেখানে মাটি ফেলে আবারও কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পুকুরের ধার দিয়ে দোকান ঘর করে তা বিক্রি করবে, এমনই অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এলাকার কিছু দুষ্কৃতীর। পুলিসকে বিষয়টি জানানোর পর এই ভরাট করার কাজ আটকে দেওয়া হয়।
কিন্তু কারা এই পুকুর ভরাটের সঙ্গে যুক্ত? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় কিছু তৃণমূল কর্মী জার্সি বদল করে বিজেপিতে গিয়েছে। তাদেরই একটা অংশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বারুইপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, পুকুর ভরাটের কোনও খবর জানা ছিল না। আগে জানতে পারলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হতো।