পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল এবং সব বেচে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ‘সর্বনাশা’ আখ্যা দিয়ে আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রের ‘অগণতান্ত্রিক’ এই দুই পরিসরকে সর্বাত্মক আন্দোলনে নিয়ে যাওয়ার রণকৌশলও এদিন ঠিক করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লাগাতার কুৎসা আর অপপ্রচারের জবাবে গত ন’বছরের উন্নয়নই যে তাঁর ভোট যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার, তাও জানিয়ে দেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলনেত্রীর নির্দেশে দলের কিষাণ শাখা আগামী ৮, ৯ এবং ১০ ডিসেম্বর অবস্থান করবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। হাল, লাঙল সহ অন্যান্য কৃষি সরজ্ঞাম এবং ফসল নিয়ে অবস্থানে বসবেন সবাই। ১০ ডিসেম্বর সেই অবস্থানে উপস্থিত থাকবেন মমতা নিজেই। ওই সময়েই ব্র্যাবোর্ন রোডে দলের শ্রমিক শাখা কেন্দ্রের ‘সব বেচে দেওয়া’ আগ্রাসন নীতির প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভ করবে।
আন্দোলনের এই কর্মসূচির পর্বে আগামী ১১ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি নিয়ে ২৯৪টি বিধানসভায় প্রচার-অভিযান চালাবে তৃণমূল। মমতা সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নির্যাস গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র পৌঁছে দেবেন জনপ্রতিনিধিরা। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেও আগামী সোমবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে প্রথমে দক্ষিণবঙ্গ এবং পরে ১৫ ও ১৬ তারিখ উত্তরবঙ্গ চষতে ময়দানে নামছেন। জরুরি এই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ আসেনি একবারের জন্যেও। তবে ‘অহঙ্কারই পতনের কারণ, অহঙ্কার করে ট্রাম্পেরও পতন হয়েছে’—মমতার এহেন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, হলদিয়া সহ আরও কয়েকটি ব্লকের সভাপতি সহ সাংগঠনিক রদবদলের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের দলীয় সভাপতি শিশির অধিকারীকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।