বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এদিন উড়ালপুলে তেমন যানজট দেখা যায়নি। তবে, পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, এদিন অফিস টাইমে বেশ কিছু কারণে উড়ালপুলের দু’দিকে যানবাহনের চাপ ছিল। গত দু’বছর বেহালা থেকে খিদিরপুরের দিকে আসতে প্রধানত চারটি রাস্তা ব্যবহার করতেন যাত্রীরা। সেগুলি হল তারাতলা থেকে ব্রেসব্রিজ হয়ে মোমিনপুর, বেইলি ব্রিজ বা দুর্গাপুর ব্রিজ হয়ে আলিপুর এবং ঠাকুরপুকুর থেকে হরিদেবপুর হয়ে টালিগঞ্জ। জয়হিন্দ ব্রিজের সামনে কর্তব্যরত ট্রাফিক কর্মীরা মনে করছেন, এদিন সকাল থেকেই এই চারটি রাস্তার যানবাহনের চাপ নবনির্মিত উড়ালপুলে এসে পড়েছে। একইসঙ্গে অতি উৎসাহীদের দেখা গিয়েছে, উড়ালপুলের মাঝে বাইক থামিয়ে সেলফি তুলতে। লালবাজারের এক সূত্রের দাবি, নতুন কোনও ব্যবস্থা শুরু হলে তা সড়গড় হতে একটু সময় লাগে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই এই যানজট স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
চার লেনের নবনির্মিত এই উড়ালপুলের ভার বহন ক্ষমতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ৩৮৬ মেট্রিক টন ভার বহন করতে সক্ষম এই ব্রিজটি। সেই কারণে প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্রিজে কোনও পণ্যবাহী গাড়ি উঠতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, ভার বহনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য বসানো হয়েছে বিশেষ সেন্সর। সেই সেন্সর মারফত সেতুর প্রতি মুহূর্তের ভার মনিটরিং করা হবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে। ব্রিজে উঠতে দেওয়া হবে না কোনও সাইকেল আরোহীকে। উদ্বোধনের সময়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ব্রিজে বাইক আরোহীদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। এমনকী এও ঘোষণা করা হয়েছে যে, কোনও ব্যক্তি হেলমেট না পরলে তাঁকে বিনামূল্যে হেলমেট দেওয়া হবে। এদিন ডিসি ট্রাফিক এমন বহু বাইক আরোহীকে হেলমেট বিলি করেন। -নিজস্ব চিত্র