পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে একাধিক প্রকল্পের পাশাপাশি মানবিক প্রকল্পেও নাম অন্তর্ভুক্তির সূযোগ থাকছে। সে কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন শিবিরে ভিড় বাড়ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের। বিশেষ করে বিভিন্ন শিবিরে র্যাম্প না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। উলুবেড়িয়ার জয়রামপুরের বাসিন্দা পোলিও আক্রান্ত জামির আলি প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্তি করার জন্য হাজির হয়েছিলেন কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। তাঁর বক্তব্য, ক্রাচ নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় উঠতে কষ্ট হয়েছে। এমনকী দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতেও আমার পক্ষে কষ্টকর। এক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িতে গিয়ে নাম অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে সুবিধাই হয়। এ প্রসঙ্গে আনন্দ ভবন ডেফ অ্যান্ড ব্লাইন্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা জেলা ডিসেবিলিটি কমিটির সদস্য অজয় দাস বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সারা দেশে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা তিন কোটি। আমাদের রাজ্যে এই সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার। আমাদের অনুরোধ, সরকার এই সমস্ত ব্যক্তির জন্য আরও একটু বিশেষ মানবিক হোক। যাতে তাঁরা বাড়িতে বসেই সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পেতে পারেন।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সমস্যা সম্পর্কে উলুবেড়িয়া ১নং ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে জানান, নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যদি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সরকারের কাছে আবেদন করেন, তাহলে আধিকারিকরা উপভোক্তার বাড়িতে গিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে শিবিরে আসতে হবে না।