বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যের ১০৪টি ফ্লাওয়ার মিলে বুধবার তল্লাশি চালান জিএসটির অফিসাররা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় জিএসটি ফাঁকির বিভিন্ন নথি। ফ্লাওয়ার মিল মালিকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন। কথা প্রসঙ্গে আধিকারিকরা জানতে পারছেন, ১০০ কেজি গমের বিনিময়ে ৯৫ কেজি আটা দেওয়ার কথা থাকলেও, তা অধিকাংশ রেশন দোকানে পৌঁছত না। গড়পড়তায় কোথাও ৬০ কেজি আবার কোথাও তার একটু বেশি আটা যেত রেশন দোকানগুলিতে। শুধু এখানে নয়, ভিন রাজ্যেও এই প্র্যাকটিস চলছে। চক্র গড়ে এই কারবার চালাচ্ছেন একশ্রেণীর অসাধু ফ্লাওয়ার মিল মালিকরা। সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের রয়েছেন। কারণ এফসিআই থেকে তোলা গম তাঁদের মাধ্যমে বিভিন্ন ফ্লাওয়ার মিলে যায়।
জিএসটির গোয়েন্দারা জানতে পারছেন, যে পরিমাণ আটা রেশন দোকানে পাঠানো হল না, তা নিজেদের গোডাউনে রেখে দিচ্ছেন ফ্লাওয়ার মিল মালিকরা। সেখানে সেগুলি প্যাকেজিং করা হচ্ছে। কিছু গম থেকে আবার অন্য কিছু তৈরি করা হচ্ছে। আটা বা অন্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। জিএসটির অফিসারদের বক্তব্য, সমস্ত রেশন দোকানে নির্দিষ্ট পরিমাণ আটা পৌঁছল কি না, তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের। সেই সঙ্গে কম আটা পেলে রেশন দোকানদারদের অভিযোগ করার কথা। দু’টি প্রক্রিয়াতেই বড়সড় ফাঁক রয়েছে। তা না হলে এভাবে সরকারি গম আত্মসাৎ করে মিল মালিকদের পক্ষে খোলা বাজারে আটা বিক্রি সম্ভব নয়। কিন্তু বিষয়টি যেহেতু জিএসটি দপ্তরের অধীনে নয়, তাই এই নিয়ে অফিসাররা এগতে পারছেন না। সেই কারণেই তথ্য জোগাড়ের মধ্যেই তাঁদের সীমাবন্ধ থাকতে হচ্ছে। তবে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে পাঠানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।