কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সেই অবস্থায় ডিউটিও করেছেন। মঙ্গলবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পুনর্মিলন উৎসব ছিল। সেখানে অনেকেই তাঁকে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। নমুনা পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হার্টের অসুখ সহ তাঁর বিভিন্ন কো-মর্বিডিটিও ছিল। তাঁর অকাল প্রয়াণে চিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকজ্ঞাপন করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলাম না।
মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘সাগর দত্ত কলেজ অব মেডিসিন এবং হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডাঃ হাসি দাশগুপ্তের অকাল মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। করোনার বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের অবসান হল আজ কলকাতায়। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৭ বছর। ডাঃ দাশগুপ্ত একজন প্রথিতযশা চিকিৎসক ছিলেন। রোগীদের নিরলস সেবা ও নিষ্ঠার গুণে তিনি ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালের প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন। স্বাস্থ্য পরিষেবায় তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণে থাকবে। তাঁর মৃত্যু রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এক বড় ক্ষতি। আমি ডাঃ হাসি দাশগুপ্তের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি’।
এদিনই কলকাতার ঢাকুরিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পোস্ট কোভিডে রমেন হাজরা নামের আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কল্যাণীর গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, হৃৎযন্ত্রের ছন্দপতন হওয়ায় তিনি ফের অসুস্থ হন। তারপর তাঁকে কলকাতায় ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন দুপুরে তিনি মারা যান। এদিকে, করোনামুক্ত হওয়ার পর পর্যবেক্ষণে থাকাকালীন এদিন মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট চিকিৎসক মৃণালকান্তি আচার্যের। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সংক্রামিত হওয়ার পর তাঁকে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শেষ রিপোর্টটি নেগেটিভ এসেছিল।