পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তাঁর দাবি, বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণের মতো ঘৃণ্য নীতি প্রত্যাহৃত হোক। তৃণমূল সুপ্রিমোর অঙ্গীকার, আমরা কিছুতেই দেশের সম্পদ বিজেপি’র ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে দিতে পারি না। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরকে প্রতিহত করতে ক্রমেই নিজের হাতিয়ারে শান দিচ্ছেন মমতা। এদিনের ট্যুইট বার্তা তারই প্রতিফলন।
সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে চর্চিত কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলনকে প্রথম থেকেই সমর্থন জুগিয়ে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এই বিলকে ‘সর্বনাশা’ অ্যাখ্যা দিয়ে বিজেপিকে নিশানাও করছেন তিনি। এদিন ট্যুইট বার্তায় ফের সেই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে গেরুয়া শিবির বিরোধী ঝাঁঝকে আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। মমতার কথায়,কৃষকদের জীবন-জীবিকা সম্পর্কে আমি যথেষ্ট ওয়াকিহবাল। কৃষককে সর্বস্বান্ত করার এই বিল কেন্দ্র সরকারকে প্রত্যাহার করতেই হবে। এরসঙ্গেই তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে এই বিল যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তবে এ রাজ্য তো বটেই গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করা হবে। গোড়া থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করছি আমরা।
কেন্দ্রের তরফে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের জেরে আলু, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সব অধিকার খর্ব হয়েছে রাজ্যের। গত জুন মাসের গোড়া থেকে আলু, পেঁ.াজর দাম তাই লাগামছাড়া। নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তাতেও অবশ্য অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। কেন্দ্র না পারলে, দাম নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক—এই দাবিও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দাম বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার যে কোনওভাবেই দায়ী নয়, সেই স্পষ্ট বার্তাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন নিয়ে এদিন ট্যুইট বার্তাতেও নিজের ক্ষোভ-উষ্মা উগড়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ, শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন মমতা। সেই জরুরি বৈঠকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন ঠিক কীভাবে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করছে, কীভাবে আকাশচুম্বী হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম, তা নিয়ে যে আলোচনা হবে, তাও জানিয়েছেনতিনি। মমতার দাবি, জনস্বার্থ বিরোধী এই আইনকে প্রত্যাহার করতে হবে দিল্লির সরকারকে।