পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই উৎসব পর্ব মিটে গিয়েছে। বছর শেষ হলেই বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ফলে উন্নয়নকে পাখির চোখ করেই এলাকার কাজে নজর দিয়েছেন দমদম পুরসভার কো-অর্ডিনেটররা। নভেম্বর মাসের শেষদিকে পুরসভার অরো হলে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য প্রশাসক। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরকেই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পুর পরিষেবা ও এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন রাস্তা মেরামত করতে হবে বা কোথায় এলইডি বসাতে হবে, পানীয় জলের লাইন কোথায় খারাপ বা নর্দমা ভেঙে গিয়েছে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওয়ার্ড ধরে ধরে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষত করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বেশ কিছুদিন কাজকর্ম বন্ধ ছিল। এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করতে চাইছে পুরসভা। সেকারণেই কো-অর্ডিনেটরদের ওয়ার্ডের প্রতি দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। লকডাউনের জেরে পার্কগুলিও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ফলে পার্কের বিভিন্ন অংশ ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। সেগুলি পরিষ্কার করে শীতের মরশুমে সৌন্দর্যায়নের বিষয়ে নজর দিয়েছে পুরসভা। সেক্ষেত্রে কোন পার্কের কী অবস্থা, কীভাবে তার সৌন্দর্যায়ন করা হবে, সে তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।
পুর প্রশাসক হরিন্দর সিং জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত কোনও কাজ ফেলে রাখতে চাই না। বকেয়া কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এইসব কাজ শেষ করা হবে। পুর কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেফ হোম ভালোভাবেই চলছে। এবছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র চারজন। ডেঙ্গু রোধে কো-অর্ডিনেটরদের আরও দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন করোনা ও ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই
চলছে, তেমনই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আধিকারিকরা। বিধানসভা ভোটের আগে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে একটি পুস্তিকা ও তথ্যচিত্র তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে পুরসভার।