বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ আদালতকে জানান, ২০১১-য় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি পরিদর্শনে যান। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। ব্যস্ত সময়ে এত লোকের উপস্থিতি নিয়ে ডাঃ গড়াই আপত্তি করেন। পরদিন তাঁকে রাজ্য সচিবালয়ে দেখা করতে বলা হয়। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের দিন নির্দিষ্ট ছিল। তাই তিনি যাওয়ার ব্যাপারে অক্ষমতা প্রকাশ করেন। সেদিন রাতে সরকারি হাসপাতালগুলির প্রধানদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডাকেন। সেখানেও গরহাজির ছিলেন ডাঃ গড়াই। তাঁকে সাসপেনশনের চিঠি দেওয়া হয়। শুরু হয় বিচারবিভাগীয় তদন্ত। কিন্তু,তা এগয়নি।
মামলাকারীর তরফে আদালতকে জানানো হয়, সাসপেনশনকালের পূর্ণ বেতন না-পেয়েই ডাঃ গড়াই ২০১৮-র ৩১ মার্চ অবসর নেন। অবসরের পরও সেই তা চালু হয়নি। তিনি স্যাটে যান। কিন্তু, সেখানেও সুরাহা মেলেনি, তিনি যান হাইকোর্টে। ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই হাইকোর্টে যাওয়ায় সরকার পক্ষ আপত্তি জানায়। কিন্তু, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো যায় না। একইসঙ্গে তাঁকে পূর্ণ পেনশন ও বকেয়া পাওনা ৮ শতাংশ সুদ-সমেত মেটাতে বলেছিল বেঞ্চ। কিন্তু, সেই নির্দেশও কার্যকর না-হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্বাস্থ্যসচিব
এবং বাঙ্গুরের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুল জারি করে। ডাঃ গড়াইয়ের পাওনা মেটানো নিয়ে এখনও কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেইসূত্রে বেঞ্চের নির্দেশ, স্বাস্থ্যসচিবকে লিখিতভাবে জানাতে হবে যে যাবতীয় পাওনা নিয়মমাফিক মেটানো হবে।