পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাওড়া জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া ১৬ নং জাতীয় সড়ক রাজ্যের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। হুগলির ডানকুনি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ১১৯ কিলোমিটার বিস্তৃত ছয় লেনের ১৬ নং জাতীয় সড়কের দুই পাশে ছোট গাড়ি যাওয়ার জন্য সার্ভিস রোড তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সার্ভিস রোডের পাশে বসবাসকারী মানুষজন যাতে যেখানে-সেখান দিয়ে জাতীয় সড়ক পারাপার করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়ক ও সার্ভিস রোডের মাঝখানে বেশ কিছু জায়গায় লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেয়। যদিও একশ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্ত রেলিং কেটে নেওয়ায় বর্তমানে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এইসব এলাকা। রেলিংয়ের ফাঁকা জায়গা দিয়ে যাতায়াত করার ফলে হামেশাই দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। তবুও রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে জাতীয় সড়ক পারাপার আটকানো যাচ্ছে না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, প্রচুর টাকা খরচ করে রেলিং লাগানো হলেও কিছু মানুষ সেগুলি কেটে নিয়ে চলে যাওয়ায় একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, অন্যদিকে সেইরকম দুর্ঘটনাও কমানো যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় সড়কের ধারে বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলিই এই রেলিং কেটে দিচ্ছে, যাতে জাতীয় সড়কের পাশে থাকা মানুষ অনায়াসে রাস্তা পার করে ওইসব দোকান থেকে জিনিস কিনতে পারে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করায় দুষ্কৃতীদের ধরাও যাচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে ১৬ নং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিক কর্নেল অশোককুমার পয়রা জানান, সাধারণত জাতীয় সড়ক দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি যাতায়াত করে। সেক্ষেত্রে যেখান-সেখান থেকে রাস্তা পার করলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকেই। তাই আমরা এইসব রেলিং লাগিয়েছিলাম, যাতে যে কোনও জায়গা দিয়ে মানুষ রাস্তা পারাপার না করতে পারে। যদিও কিছু লোক রেলিং কেটে নিয়ে মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আর যদি এলাকাবাসীর মধ্যে এই নিয়ে সচেতনতা বোধ না আসে, তাহলে দুর্ঘটনার হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
জাতীয় সড়কে উধাও রেলিং। -নিজস্ব চিত্র