পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইছাপুরের দুই ভাই গোপাল ও নেপাল এলাকার পরিচিত মুখ। বছর চারেক আগে গোপাল বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাঁর স্ত্রী চম্পারানি দাস স্থানীয় উত্তর বারাকপুর পুরসভা থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। গত জুলাই মাসে এই চম্পারানিকেও খুনের ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ৪ জুলাই বাড়ির সামনে এসে দুষ্কৃতীরা চম্পাদেবীকে গুলি করেছিল। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছিল। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচ মাসের মাথায় তাঁর দেওরকে গুলি করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। নেপাল দাস একটি স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জনা তিন-চার দুষ্কৃতী এসে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে। তাঁর কপালে গুলি লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির আওয়াজে এলাকার লোকজনও জড়ো হয়ে যায়। ঠিক সেই সময় একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন সন্দীপ দাস নামে ওই গাড়ির চালক। দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। গাড়ির কাচ তোলা ছিল। তারপরই দুষ্কৃতীরা চালককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কাচ ভেদ করে তাঁর হাঁটুর উপর গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়েও তিনি গাড়ি চালিয়ে বড় রাস্তায় আসেন। তারপর তাঁকে বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নেপাল দাসকেও প্রথমে বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ গাড়ির চালক সন্দীপ দাস হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বেহালার বাসিন্দা। মালিকদের নিয়ে একটি নিমন্ত্রণ বাড়িতে এসেছিলাম। ফেরার সময় ইছাপুর রেলগেট পার করে কিছুটা যাওয়ার পর কয়েকজন এসে গাড়ি দাঁড় করায়। কিছুই বুঝতে পারিনি। কাচ তোলা ছিল। আচমকা গুলি চালাল। পায়ে গুলি লাগার পর আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নামতে বলছিল। কিন্তু, আমি নামিনি। ওখান থেকে গাড়ি চালিয়ে কোনওরকমে পালিয়ে আসি।’ পুলিসের অনুমান, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়ি নিয়ে পালানোর জন্যই হয়তো চালককে গুলি করেছিল।
বারাকপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (সাউথ) অজয়কুমার ঠাকুর বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। নেপালকে গুলি করার পর লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছিল। আমাদের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সন্দেহবশত ওই গাড়ির চালককেও গুলি করে। নেপালের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’