কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলি থানা এলাকার ফুলবাগান রোডে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একই বাড়িতে বসবাস করেন দুই ভাই অরিন্দম বসু এবং অংশুমান বসুর পরিবার। অরিন্দমবাবু সরকারি চাকরি করেন। ছোট ভাই অংশুমান বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জেনেছে, বাড়ির বড় বউ ফাল্গুনীদেবীর সঙ্গে আকছার ঝামেলা হতো ছোট বউ শর্মিষ্ঠার। অংশুমান ও শর্মিষ্ঠার একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই দুই গৃহবধূর ঝগড়া মাত্রা ছাড়িয়ে যেত। চুল ধরে টানাটানি, মারামারি— বাদ যেত না কিছুই।
সোমবার ফের দুই জায়ের মধ্যে বিরিয়ানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। ছোট বউয়ের ছেলেকে তার জেঠিমা আদর করে বিরিয়ানি খাওয়ান। খাওয়ার পরেই ছেলেটি বমি করে ফেলে। সঙ্গে শুরু হয় পেট ব্যথা। এই নিয়েই বাড়ির দুই বধূর মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। কিছুক্ষণ দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। তারপর আচমকাই শর্মিষ্ঠাদেবী রাগের মাথায় ফাল্গুনীদেবীকে ধাক্কা মেরে খাটের উপর ফেলে দেন। চেপে ধরেন মুখ, হাত-পা। তাতেই সংজ্ঞা হারান বছর আটচল্লিশের ফাল্গুনীদেবী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অরিন্দমবাবু। তিনিই স্ত্রীকে নিয়ে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ছোটেন। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফাল্গুনীদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শর্মিষ্ঠাদেবী পুলিসকে জানিয়েছেন, ইচ্ছা করে এই কাণ্ড ঘটাননি তিনি। এটা নিছক দুর্ঘটনা।