কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাগান এলাকায় কলকাতার পুরসভার ৩ নম্বর বরোর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বেআইনি নির্মাণের ঘটনাটি ঘটে। পুরসভার আইনকানুন অগ্রাহ্য করে গড়ে তোলা হয় প্ল্যান বহির্ভূতভাবে তিনতলা বাড়িটি। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার কথা বলেন। এই মর্মে নোটিসও ধরানো হয়। অভিযোগ, তা অগ্রাহ্য করে বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারের মদতে ফের ওই বাড়ির একটি অতিরিক্ত তল বাড়ানো হয়। এরপরই ২০১৮ সালের আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে পুরসভার তরফে ফুলবাগান থানায় ওই তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিস বেআইনি একটি নির্মাণের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নামে। পরে তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে মামলার তদন্তকারী পুলিস অফিসার রাজীব প্রসাদ চার্জশিট পেশ করেন। ওই বছরেই ৩০ অক্টোবর চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার বিচার প্রক্রিয়া। আদালতে সাক্ষ্য দেন সরকার পক্ষ থেকে মোট পাঁচজন। আর ওই বাড়ির মালিকের পক্ষ থেকেও একজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সমস্ত সাক্ষ্য প্রক্রিয়ার শেষে বিচারক এই চাঞ্চল্যকর রায় ঘোষণা করেন।
বেআইনি নির্মাণের এই মামলায় ১১৭ পাতার রায়ে বিচারক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমেরও প্রশংসা করেছেন। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে তাঁরা যে নানা সময় উষ্মাপ্রকাশ করে সোচ্চার হয়েছিলেন, সেই প্রসঙ্গটিও বিচারক তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী ও পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নানা সময় যে বক্তব্য পেশ করেছেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই সংবাদের কথাও তুলে ধরা হয় এই রায়ে। সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট নানা সময় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নানা কড়া আদেশ দিয়েছে। সেই সমস্ত আদেশের কথা তুলে ধরেন বিচারক এই আদেশের ছত্রে ছত্রে। আদালতের মন্তব্য, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বহু বেআইনি নির্মাণ শেষ পর্যন্ত গুঁড়িয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন বেআইনি নির্মাণকারীরা। অসাধু কাজকর্ম রোধে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ যে সৎ উপদেশের কথা বলেছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আদালতের মন্তব্য, অসাধু কাজকর্ম থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। বিচারকের মন্তব্য, এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আদালত কখনও চুপ করে বসে থাকতে পারে না। কড়া হাতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আর এ ক্ষেত্রে আদালত সেই কাজটিই করেছে।