বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মোমিনপুরের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর মা বিউটি পার্লারের কাজের সুত্রে গত দু’মাস ধরে আন্দামানে থাকেন। বাবা পার্ক সার্কাসের এক নামী রেস্তোরাঁর শেফ। সোমবার বিকেলে ভূকৈলাস রোড থেকে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ফোনে মায়ের সঙ্গে এক প্রস্থ বচসা হয়।এরপরই বাড়ি ফিরে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, সোমবার সন্ধে সোয়া সাতটা নাগাদ আন্দামান থেকে ফোন করে ছাত্রীর মা মেয়েকে বন্ধুদের সঙ্গে এখানে-সেখানে ঘুরে না-বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন, যা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। পরে বাড়ি ফিরে আসার পরও ওই ছাত্রীর সঙ্গে মায়ের আবার এক প্রস্থ বচসা হয়। এই বচসা চলাকালে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ছাত্রী। বাধ্য হয়েই ছাত্রীর মা একবালপুর নিবাসী দুই মামিকে অবিলম্বে পর্নশ্রীর ভাড়া বাড়িতে যেতে বলেন।
রাত সোয়া ১১ টা নাগাদ ওই দুই আত্মীয়া পর্ণশ্রীর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। খোলা জানলা দিয়ে দেখা যায়, ওই নাবালিকা ছাত্রী ঝুলন্ত দেহ। আত্মীয়াদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাই ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত ১২ টা নাগাদ তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, ওই ছাত্রী খুব আত্মকেন্দ্রিক ছিল। আত্মঘাতী ছাত্রীর বাবার সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, আর পাঁচটা দিনের মতো তিনি সকাল নটা নাগাদ বাড়ি থেকে রেস্তোরাঁর উদ্দেশে বেরিয়ে যান।বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তিনি শেষবার মেয়েকে ফোন করেছিলেন। তখনও মেয়ের কথাবার্তায় কোনও আস্বাভাবিকতা ছিল না। এমনকী ওই ছাত্রী বাবাকে ফোনে জানায়, সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সে মোমিনপুরে টিউশন পড়তে যাবে। এই টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মা মেয়ের বচসা। আর তার জেরেই বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হয় মেয়ে।