কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
করোনা আতঙ্কের আবির্ভাব থেকেই ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করে জুড়িগাড়ির ব্যবসা। লকডাউনের আগে থেকে পেট চালাতে জেরবার হয়ে যান ব্যবসায়ীরা। পরিবারের পাশাপাশি পোষ্যদেরও সমানতালে তদারকি করতে হয় তাঁদের। প্রতিটি ঘোড়ার খোরাকি বাবদ প্রতিমাসে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে লালনপালন---- সবক্ষেত্রেই জীবিকা নির্বাহ করতে বেশ বেগ পেতে হয় ঘোড়া মালিকদের। ঘরবন্দি পরিস্থিতিতে সেই জীবনযুদ্ধ আরও কঠিন হয়েছে ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শেহরুল-নাসিম সহ প্রায় ৫০ টি জুড়িগাড়ির সওয়ারির।
সেই দশা কাটাতে চলতি শীতের মরশুমকে পাখির চোখ করেছেন জুড়িগাড়ি মালিকরা। তিনটি গাড়ির মালিক শেহরুল আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, শীতকাল জুড়িগাড়ি ব্যবসার প্রধান সময়। ভিক্টোরিয়া, ময়দানে পিকনিক কিংবা ঘুরতে আসা বহু মানুষ রেসকোর্সের মাঠ বরাবর ঘোড়ার গাড়িতে পাক খেতে পছন্দ করেন। তবে কোভিডের যে প্রভাব এখনও পর্যন্ত রয়েছে তার জন্য মরশুমের গোড়া থেকেই সচেতন ব্যবসায়ীরা। তাঁরাই যাত্রীদের বলছেন, ‘মাস্ক পরে গাড়িতে উঠুন।’ যাত্রীদের ওঠার আগে বেশিরভাগ জুড়িগাড়ি মালিকরা বসার জায়গাটুকু স্যানিটাইজ করে দিচ্ছেন। যাতে সংক্রমণ আনন্দে বাধা না হয়ে ওঠে।
রবিবার দুপুরে অনেককেই রোদ পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। নিউ নর্মালে যাত্রীরাও যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন ‘জুড়ি-রাইডে’। যাত্রীদের মতে, একটি গাড়িতে পরিবারের সকলে উঠছেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় অনেকটাই কম। অন্যদিকে, মাস্ক ব্যবহার এবং গাড়ি স্যানিটেশনের ফলে আতঙ্ক প্রায় নেই বললেই চলে। তাই শীতের মরশুমে জুড়িগাড়ি চড়ার মজা কেউ ছাড়তে চাইছেন না। লকডাউনের প্রভাব ঝেড়ে ফেলে ব্যবসা ফেরার ইঙ্গিত পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরাও। এ দিন অনেক ব্যবসায়ী গড়ে ৪-৫ ট্রিপ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। ফলে
রোজগারের দরজাও ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। লকডাউনের সময় এই ঘোড়াগুলিকে ভরণপোষণে সাহায্য করে রাজ্য সরকার। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোড়াদের খোরাকি তুলে দেন মালিকদের হাতে।