গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে বসিরহাটে দলের জেলা সভাপতি তারক ঘোষের কর্মসূচিতে ভাঙচুর চালিয়েছিল বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। এরপর বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী বসিরহাটের এসে জেলার সহ সভাপতি দুলাল রায়, জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার ও বসিরহাট পুর মণ্ডলের সহ সভাপতি বিশ্বনাথ রক্ষিতকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর চলছে। এই মুহূর্তে দলকে শক্তিশালী করার থেকে নিজেরাই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত বসিরহাটের বিজেপি নেতাদের একাংশ। কয়েকদিন আগে সন্দেশখালি ১নং উত্তর, সন্দেশখালি ২নং পশ্চিম, মিনাখাঁ উত্তর ও হাড়োয়া দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আচমকা এই চার নেতাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভের পারদ আরও চড়েছে। অপসারিত মণ্ডল সভাপতির অনুগামীরা এদিন বসিরহাট টাউন হল লাগোয়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগের তির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। দলের একাধিক নেতার দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন তাঁরা। এই গোষ্ঠীর লোকজন এরপর দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেন।
তৃণমূল গেরুয়া শিবিরের এই কোন্দল দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই টাকার ভাগ নিয়ে বিজেপিতে মারপিট শুরু হয়েছে। টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ বেচে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা নিজেদের দলের লোকজনকে মর্যাদা দেন না, তাঁরা সাধারণ মানুষকে কীভাবে সম্মান দেবেন?
বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা দুলাল রায় বলেন, বর্তমান জেলা সভাপতি রাজনীতির কিছুই বোঝেন না। ওনাকে আরএসএস থেকে তুলে এনে হঠাৎ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এলাকার সক্রিয় কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছেন। যাঁরা তাঁর পদলেহন করছেন না, তাঁদের বহিষ্কার করছেন। জেলা সভাপতি তাঁবেদার পরিবেষ্টিত হয়ে ঘুরছেন। তাঁদের কথায়, ঠান্ডাঘরে বসে দল চালাচ্ছেন তারকবাবু। এই বিষয়ে বসিরহাটের জেলা সভাপতি তারকবাবু বলেন, দল আমায় জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। পদের প্রতি কোনও মোহ নেই। দলের যেদিন ইচ্ছে আমাকে সরিয়ে দিতে পারে। টাকার জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। একাধিক নেতার বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। রাজ্য নেতৃত্ব তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। নতুন চারজন মণ্ডল সভাপতিকে দলের স্বার্থে সরানো হয়েছে। ওনাদের অন্য কাজে লাগানো হবে।