রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চলতি মাসের ২৭ নভেম্বরে ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ের দিনও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের ঠিক চার দিন আগে ওই তরুণী জানতে পেরেছেন, রহস্যজনকভাবে নীতিন তার ৩৪/এ আমহার্স্ট রোয়ের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। যদিও তরুণী দেখেছেন, নীতিন পালিয়ে গেলেও তার বাবা উমাকান্ত জয়সোয়াল মা ফুলকুমারী জয়সোয়াল বাড়িতে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এর থেকে ওই তরুণীর মনে হয়েছে, বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নাটক করছে ওই যুবক। আর এই ঘটনার নেপথ্যে নীতিনের বাবা-মায়েরও প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। এরপর হাওড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী আমহার্স্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিস ৪১৭ (প্রতারণা) ও ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পলাতক পাত্র নীতিনকে গ্রেপ্তার বা উদ্ধার কিছুই করতে পারেনি আমহার্স্ট থানার পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস দেখেছে তার মোবাইল ফোন বন্ধ। কলকাতা পুলিসের ডিসি নর্থ জয়িতা বসুকে ফোন, মেসেজ পাঠানো হলেও তিনি এ বিষয়ে যথারীতি কোনও জবাব দেননি।
প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুলিস জানতে পেরেছে, দু-তিন বছর আগে এক বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে আলাপ হয়েছিল হাওড়ার বাঙালি পরিবারের ওই তরুণীর সঙ্গে নীতিনের। এমনিতে বাইক পরিষেবা সংস্থায় চাকরি করে নীতিন। ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার বেদিক ভিলেজ-সহ রাজারহাটের একাধিক রিসর্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
ওই তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমন্ত্রণ কেনাকাটা-সহ বিয়ের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ। আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিয়ের ঠিক চার দিন আগে পাত্র রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যাওয়ায় কার্যত জলে পড়েছে হাওড়ার পরিবারটি।