বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অনেক সময় দেখা গিয়েছে, কোমরবন্ধনী বা বেল্টের ভিতর কিংবা জুতোর তলায় করে সোনা বা মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতী। পরবর্তীকালে সেই পদ্ধতিতে বদল এনেছে তারা। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে হ্যান্ড ব্যাগ বা লাগেজ ব্যাগে ভরে পাচারের পথ নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ব্যাগের ভিতরেই চোরা পকেট। তাতেই থাকে মাদকের প্যাকেট। এই সব চোরা পকেট সাধারণ স্ক্যান মেশিনে অনেক সময় ধরা পড়ে না। কিংবা ব্যাগে থাকা টিফিন বাক্সতেও কখনও কখনও মাদক ভরে বিমানে ওঠে পাচারকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়াতে পারলে আর কথা নেই। এক শহর থেকে অন্য শহরে উড়ে যেত মাদক। এই পাচার রোধ করতেই অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক এক্সরে স্ক্যানার মেশিন। এই মেশিন ব্যাগের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পকেটকেও চিহ্নিত করতে পারবে। চিনিয়ে দিতে পারবে মাদক বা সোনার লুকনো ভাণ্ডার। কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যাগের ভিতরে গোপন পকেটের জিনিসও ধরা পড়বে এই স্ক্যানারে। সোনা কিংবা মাদক পাচার করা হচ্ছে কি না, তা জানা যাবে সহজেই।
নতুন স্ক্যানার মেশিন ব্যাগ বা লাগেজের যে ছবি পাবে, তা নিমেষে চলে আসবে মনিটরে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কথায়, একে বলে ‘ডুয়াল ভিউ এক্সরে ব্যাগেজ ইন্সপেকশন সিস্টেম’। এমন চারটি স্ক্যানার বসানো হচ্ছে। দুটি থাকছে লাগেজ চেকিং কাউন্টারের সামনে, বাকি দুটি সেফটি চেক ইন এরিয়ায়। এর জন্য করচ হয়েছে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, আগে বিদেশ থেকে এমন মেশিন আনতে হতো। এখন বিদেশি ধাঁচে তৈরি মেশিন দেশীয় সংস্থাই তৈরি করছে। দেশের বিমানবন্দরগুলির জন্য আপাতত ১০টি অত্যাধুনিক এক্সরে স্ক্যানার মেশিন তৈরি করা হয়েছে। তারমধ্যে চারটি এসেছে কলকাতায়। এই মেশিন এতটাই শক্তিশালী যে, সরু তারও কেউ ব্যাগে লুকিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। সবই ধরা পড়বে মেশিনে। -নিজস্ব চিত্র