গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে, সোমবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অমিতাভ লালা। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ২৪ অক্টোবর থেকে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর করোনার চিকিৎসা চলছিল। ৪ নভেম্বর অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা মুক্তও হন। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর পুত্র ডাঃ অরুণাভ লালা শহরের খ্যাতনামা অর্থোপেডিক সার্জন। চিকিৎসা চলাকালীন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির শরীরে প্লাজমা ও প্লেটলেটের ঘাটতি দেখা যায়। এদিন তাঁর পুত্রবধূ ইন্দ্রাণী লালা বলেন, আমরা সব দিক থেকে চেষ্টা করেছিলাম। প্লাজমা, প্লেটলেট ও সিঙ্গল ডোনার প্লেটলেট চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনও করেছিলাম। পেয়েওছিলাম। বাবাকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না। কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরুর পরে সেখানেই বিচারপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিতাভ লালা। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে বদলি হন। কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেন। বিচারপতি হিসেবে এরাজ্যে থাকাকালীন তিনিই প্রথম রাস্তা আটকে মিছিল-মিটিং করার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নিয়ে তৎকালীন সিপিএম নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয় বিচারপতি লালাকে। এখনও বিভিন্ন সময়ে রাস্তা আটকে মিছিল-মিটিং নিয়ে মামলায় তাঁর রায়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে।