বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে, এই মামলায় ধৃত গোবিন্দ আগরওয়ালকে মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশালের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে জামিন দেন। তবে তিনি বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন না বলে শর্ত দিয়েছে আদালত। এদিন আদালতে তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, তাঁর মক্কেল অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। এই যুক্তি দিয়েই জামিনের আবেদন জানানো হয়। সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর আর্জি, হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে যেন তাঁকে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
দুর্নীতি মামলার তদন্তে জানা গিয়েছে, নোট বাতিলের সময় বিপুল পরিমাণ জুয়েলারি সামগ্রী কেনেন এফআইআরে নাম থাকা আইআরএস অফিসার নীরজকুমার সিং। ওই লেনদেনের অঙ্ক কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্নীতির কালো টাকা তাঁর ঘরে মজুত ছিল। হঠাৎ করে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি। এরপর গোবিন্দ আগরওয়ালের কোম্পানির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কয়েকজন তাঁকে সাহায্য করেন বলে অভিযোগ। যে টাকার গয়না কেনা হয়েছিল, তার সব রশিদ তাঁর নামে হয়নি। বিভিন্ন কোম্পানির নামেও জুয়েলারি কেনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানিগুলির সবকটি কাগুজে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা মেটানো হয়। অফিসারের কালো টাকা প্রথমে বিভিন্ন লেনদেন দেখিয়ে এই ভুয়ো কোম্পানিতে আনা হয়। তারপর সেই টাকায় সোনা কেনা হয়। সেই সব গয়না কোথায় আছে, তার খোঁজ চলছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ইউরোপে বেড়াতে গিয়েছিলেন নীরজকুমার সিং। বিভিন্ন কোম্পানিকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকাতেই তাঁর বিদেশ ভ্রমণ। সেই সমস্ত ভুয়ো কোম্পানির কর্ণধারদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, তদন্তকারীদের দাবি, নীরজকুমারের দুর্নীতির কথা জানতেন আয়কর দপ্তরের বেশ কয়েকজন অফিসার। তাঁরাও কালো টাকা সাদা করতে বিভিন্ন কোম্পানিকে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। ওই অফিসাররা নীরজকুমার সিংয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। রীতিমতো টিম বানিয়ে ঠান্ডাঘরে বসেই দুর্নীতি করে যাচ্ছিলেন ওই আধিকারিক। এই বিষয়ে জানতে তাঁর ঘনিষ্ঠ অফিসারদের একে একে জেরা করা হবে।