কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শীতের মরশুমে পিকনিক, উচ্চঃস্বরে বক্স বাজানো ও বাজি ফাটানো হতো এক সময়। পাখির সংখ্যা কমতে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নিয়েই এই এলাকায় পিকনিক নিষিদ্ধ করে দেন।
ধীরে ধীরে বেড়েছে পাখির সংখ্যা। তবে এবছর এই সংখ্যা অনেকটাই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দা স্বরূপ মিত্র বলেন, বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি জলাশয়ে আসে। গ্রামের মানুষই পালা করে জলাশয় পাহারা দেয়। গত চার বছর এখানে পিকনিক বন্ধ। এবার পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। শব্দদূষণ যেন না হয়, সেদিকেই সবার নজর। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ, দূষণমুক্ত পরিবেশ রাখার বোর্ড টাঙানো সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভবিষ্যতে এই জায়গা পরিযায়ী পাখিদের বাসস্থান হিসেবে গড়ে উঠবে। পশুপ্রেমীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রাণীবিদ শান্তনু মিত্র জানান, এই জলাশয়ে আসা পাখিদের বেশিরভাগই লেসার হুইসলিং ডাক প্রজাতির। এই প্রজাতির পাখি ভিনদেশের, এরা থাকে এ দেশেই, ঠান্ডার জায়গায়। গ্রীষ্মকালে এই পাখিরা থাকে হিমালয় সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চলে। শীতের সময় উড়ে আসে এখানে। আবার কয়েক জোড়া বিদেশি পাখিও আসে, তবে তা হাতেগোনা। উত্তরবঙ্গে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেশি। হিমালয় পার হয়ে পাখির ঝাঁক চলে আসে বাংলার বিভিন্ন জলাশয়ে। এই ধরনের পাখির প্রধান খাদ্য গেঁড়ি, গুগলি, ঝিনুক, বিভিন্ন রকম জলজ পোকা। পর্যাপ্ত খাবার পেলে ও বিরক্ত না করলে প্রতি বছরই পাখিরা একই জলাশয় আসে। শীতের শুরুতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি আসার খবরে খুশি পক্ষীপ্রেমীরা। তাঁরা দল বেঁধে ছুটে আসছেন হরিপালে। বলদবাঁধই এখন তাঁদের গন্তব্য।