পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজপুর-সোনারপুর এবং মহেশতলা জেলার সবচেয়ে বড় পুরসভা বলে পরিচিত। দু’টিতেই ৩৫টি করে ওয়ার্ড রয়েছে। রাজপুর-সোনারপুরে শতাধিক পদ খালি রয়েছে। এখানে ১৯১টি পদ থাকলেও কাজ চলছে মাত্র ৮৫-৯০ জনকে দিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত এবং কিছু চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়ে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সাফাই এবং করণিক পদেই এই সঙ্কট বেশি।
অন্যদিকে, মহেশতলা পুরসভার শূন্য পদ খুব বেশি নেই। কিন্তু পর্যাপ্ত লোকবলও নেই। যার ফলে কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা। তাঁদের যুক্তি, এই পুরসভার যা পরিধি সেই অনুপাতে বর্তমানে যে সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন, সেটা নেই। জানা গিয়েছে, এখানে স্থায়ী পদ আছে ২০০-র কিছু বেশি। তার মধ্যে ১৮৫টিতে লোক আছে। এক আধিকারিক বলেন, শূন্য পদ খুব বেশি না থাকলেও আরও লোকের দরকার আমাদের। ৩৫টি ওয়ার্ডে সবরকম পরিষেবা দেওয়ার জন্য আরও অন্তত ১০০ জনের মতো লোক দরকার।
একই সমস্যা বজবজ পুরসভায়। জানা গিয়েছে, এখানে ৩৫০টি পদ থাকলেও খালি আছে ৫০টি। বিদ্যুৎ সহ একাধিক বিভাগে কমবেশি খালি পদ আছে। কোনও মতে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে বাকি কাজ করানো হচ্ছে। এদের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা ভালো বারুইপুর পুরসভায়। রাজপুর সোনারপুর এবং মহেশতলার তুলনায় অনেকটাই ছোট এই পুরসভা। এখানে কর্মী সঙ্কট তো নেই-ই, উল্টে অতিরিক্ত কর্মী কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। পুজালি পুরসভাতেও কর্মী সঙ্কট নেই বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের কোষাগারে টান পড়েছে। এই অবস্থায় শীঘ্রই কর্মী সঙ্কট মেটাতে সরকার উদ্যোগী হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে সবাই। পুরকর্তাদের মতে, কোনওভাবে কাজ চলছে ঠিকই। তবে আরও ভালোভাবে কাজ করতে গেলে আরও কর্মী দরকার।