কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের কিনারা করা গেল বলে পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতরা হল, শেখ সাজিদ ওরফে রোহিত (৩০) ও তার স্ত্রী আঞ্জুম বেগম (২৬)। মৃতা নয়নার সঙ্গে শেখ সাজিদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। খুনের ঘটনায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর জেরায় সাজিদ দাবি করেছে, তাকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন নয়না। তার বদলা নিতেই শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়। তারপর, দেহ বস্তাবন্দী করে বাড়ির সামনে ফেলে দেয় সাজিদ ও তার স্ত্রী আঞ্জুম বেগম। এমনকী তদন্তে জানা গিয়েছে, খুন করার পর সাজিদ নিজেই পুলিসে খবর দেয়। পুলিস এলে বস্তা খুলতে সে সাহায্যও করে। তদন্তে নেমে পুলিস সাজিদ ও তার স্ত্রী আঞ্জুমকে গ্রেপ্তার করলেও, এই খুনের ঘটনার পিছনে আর কেউ জড়িত কিনা, সে বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, পুলিস বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বললেও, নয়নার পরিবারের লোকজনের দাবি, সাজিদের সঙ্গে সাবার কোনও সম্পর্ক ছিল না। ওরা ২ জন শুধুমাত্র বন্ধু ছিল।
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে একবালপুর থানার এমএম আলি রোডের উপর বস্তাবন্দী অবস্থায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুন ওরফে নয়নার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই যুবতীকে। জানা যায়, ওয়ারশি লেন এলাকায় রেশমা নামে এক বন্ধুর বাড়িতে গত ২ মাস ধরে থাকছিল নয়না। বুধবার বিকেলে বিরিয়ানি আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মোবাইল ফোনও সুইচড অফ ছিল। পরে গভীর রাতে তার বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার হয়। সবার প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই সেই বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেন। নিহত যুবতীর গলা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেই আঘাতের চিহ্ন ছিল। আত্মীয়স্বজনদের কথায় জানা যায়, নেশা করার অভ্যাস ছিল নয়নার। দিনের বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্থ থাকত ২২ বছরের ওই যুবতী। এমনকি পরিবারের তরফে তাকে মাস ছয়েক নেশামুক্তি কেন্দ্রেও রাখা হয়েছিল।