বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, চলতি বছর দুর্গাপুজোর ভাসান নিয়ে এমনটাই অভিনব ব্যবস্থা হয়েছিল ত্রিধারা সম্মিলনীতে। সেই পুজোর উদ্যোক্তা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য দেবাসিশ কুমার। তিনি ইট, সিমেন্ট, প্ল্যাস্টিক দিয়ে অস্থায়ী জলাধার তৈরি করে সেখানে জল দিয়ে ঠাকুরের মাটি গলানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে শোভাযাত্রা করে গঙ্গায় গিয়ে ভাসান দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই, সবদিক মাথায় রেখেই বিকল্প ব্যবস্থা নেন তিনি, জানান দেবাশিস কুমার। সেই ব্যবস্থাকেই ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে করতে চায় পুরসভা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে দেবাশিস কুমারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। জল বিভাগ বিষয়টি দেখবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, মোটামুটি যেখানে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাবে সেখানে এই ধরনের কৃত্রিম জলাধার বানানো হবে। পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জল তুলে এনে প্রতিমা ধোয়া হবে। সেক্ষেত্রে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের চাপও কিছুটা এড়ানো যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকারের এই পদক্ষেপটি নৈতিক দিক থেকে সমর্থনযোগ্য বলে মনে করেন কাশী বোস লেন পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সোমেন দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি বিধিনিষেধ অবশ্যই মানতে হবে। মানুষ এবং পরিবেশকে বাঁচাতে, গঙ্গার জলদূষণ রুখতে যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা মাফিক কিছু করা হয়, তাতে অবশ্যই আমাদের সমর্থন থাকবে।