বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর বাসিন্দা রামকৃষ্ণবাবুর স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেছিল গাইঘাটার গোয়ালবাথানের বাসিন্দা সুজিত দাসের। প্রথমে ধর্ম বোনের পরিচয় দিয়ে গোপন প্রেমের খেলা বেশ কিছুদিন চালিয়েছিল সুজিত। প্রেমের জোয়ারে গা ভাসাতে সে নিজের বাড়ি ছেড়ে বনগাঁয় রামকৃষ্ণবাবুর বাড়ি লাগোয়া এলাকায় ঘর ভাড়ায় নিয়েছিল। কিন্তু এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সে ওই এলাকা ছেড়ে চলে আসে। পরে স্বপ্নার সঙ্গে আলোচনা করে এলাকা থেকে পালিয়ে ঘর বসানোরও ছক কষেছিল। কিন্তু স্বপ্না আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিল। তারমধ্যে রামকৃষ্ণবাবু বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চাপ দেন। কোনও সম্পর্ক নেই জানালেও, গোপনে সুজিতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে স্বপ্না। রামকৃষ্ণবাবুকে ধরাধাাম থেকে সরিয়ে দিতে সুজিত ও স্বপ্না একসঙ্গে পরিকল্পনা করে। োুলিস জানিয়েছে, এরপর পূর্ব পরিকল্পনামাফিক দশমীর দিন সুজিত রামকৃষ্ণবাবুকে সপরিবারে তার বাড়িতে ডেকে আনে। রাতে খাবারের জন্য মাংস ভাতের আয়োজন করে। এরপর রাতে খাল লাগোয়া বাঁশ বাগানে রামকৃষ্ণবাবুকে মদ খাইয়ে বেঁহুশ করে খুন করে। এরপর স্বপ্নার সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ ঘরের মধ্যে নিয়ে আসে। শোওয়ার ঘরে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহ মাটি চাপা দেওয়ার পর একসঙ্গে বসে মাংস ভাত খায়।
এরপর স্বপ্নাকে বনগাঁয় ছেড়ে দিয়ে আসে। জেরায় পুলিস জেনেছে, মৃতদেহ লোপাট করার প্রক্রিয়া জানতে ইউটিউবে একাধিকবার স্বপ্না ও সুজিত ক্রাইম থ্রিলার দেখেছিল। সেইমতো একাদশীর দিন সুজিত বনগাঁর রামনগরে গিয়ে ধারালো চপার কিনেছিল। কিন্তু ওইদিন স্থানীয়রা বাঁশ বাগানে প্রচুর রক্ত সহ অন্যান্য সামগ্রী দেখতে পাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ওই রাতে এলাকায় পুলিসি নজর থাকায় মৃতদেহ লোপাট করতে পারেনি সুজিত।