বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
নিশ্চিন্দা থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ওই যুবকের মানসিক অবসাদ ছিল। তার মধ্যে সন্দেহবাতিক ছিল। মারামারি করার একটি প্রবণতাও ছিল। তারকের ভাই বিশ্বজিৎ পাল বলেন, দাদার বরাবরই সন্দেহ ছিল মা তুকতাক করে। এজন্য দু’জনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। দাদার সঙ্গে তার স্ত্রী’রও বনিবনা ছিল না। সম্প্রতি অর্থাভাবে দাদার মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছিল। ঘটনার সময় দাদা ও মা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি খবর পেয়ে যখন যাই, প্রতিবেশীরা ততক্ষণে মা’কে হাসপাতালে ভরতি করেছে। দাদার কিছু ত্রুটি ছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটাতে পারে ভাবিনি।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর থেকেই তারকের স্থায়ী কাজ ছিল না। দরিদ্র পরিবারের ওই যুবক ব্যাগ সেলাই করে উপার্জন করত। লকডাউনের সময় থেকে সে তাবিজ, কবচের ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু সেখানেও পসার জমাতে পারেনি। পারিবারিক অনটনের কারণেই বাড়িতে নিয়মিত অশান্তি লেগে থাকত। স্ত্রী সহ তিন সন্তান আছে তারকের। প্রায় একবছর আগে নিয়মিত অশান্তি মারধরের কারণে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু বাচ্চারা তার কাছেই থাকত। বৃদ্ধা মা ও বাচ্চাদের ভরণপোষণ ঠিকঠাক করতে পারত না তারক। সে নিয়েও তার মানসিক অবসাদ বাড়ছিল। আর তার জেরে গত কিছুদিন ধরে সে বেশি করে অশান্তি করতে শুরু করেছিল। তার মনে বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছিল সমস্ত সমস্যার কারণ বৃদ্ধা সুভদ্রাদেবী। তিনিই তুকতাক করায় তার সমস্যা তৈরি হয়েছে।