কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বউবাজার থানার ছাতাওয়ালা গলি এলাকায় একটি বেআইনি নির্মাণ শুরু হওয়ার খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’ই শ্রমিককে ধরে নিয়ে আসে। আটক করা হয় কোদাল, বেলচা সহ কিছু জিনিসপত্র। পরে এই মামলার নথিপত্র পুর আদালতে পেশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ওই নথিপত্রে ধৃত দুই শ্রমিকের কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট নেই। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী যেটা থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি থানায় এই মর্মে যে জিডি এন্ট্রি করা হয়েছিল, সেই নথির পূর্ণাঙ্গ প্রতিলিপি কোর্টে পেশ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, কলকাতা পুর আইনের যে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেই মামলা রুজু করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিস আদালতের কোনও অনুমতি নেয়নি। তাই আদালতের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতিতে দুই শ্রমিকের গ্রেপ্তারিটা কখনই আইনসিদ্ধ ছিল না। পাশাপাশি বাধ্যতামূলকও ছিল না। ওই আদালতের আইনজীবীদের একাংশের কথায়, যেটা করা হয়েছে, তা এক কথায়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে আদালত অবমাননারই শামিল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার নথিপত্রে নানান অসঙ্গতির থাকায় বিচারক চরম ক্ষোভ ব্যক্ত করে অভিযুক্ত দুই শ্রমিককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। দীর্ঘ রায়ে বিচারক সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের আদেশের নানা তথ্য তুলে ধরেন। আদালতের প্রশ্ন, শহরে পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এর আগেও একাধিক বেআইনি নির্মাণের মামলা দায়ের করেছে, সেখানে বেআইনি নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন তা না করে শুধুমাত্র দুই শ্রমিককে মামলায় অভিযুক্ত করা হল? এদিকে, এই মামলায় ধৃতদের আইনজীবীদের বক্তব্য, আদালতের এই রায় ভবিষ্যতের জন্য আলাদা একটা বার্তা বহন করবে।