বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
১৬ নং জাতীয় সড়ক থেকে বাগনান আমতা রাস্তায় বাঙালপুর সেতু পার হলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জোকা গ্রামে। গ্রামে দুটি দুর্গা পুজো হলেও, এলাকার বাসিন্দাদের কাছে লক্ষ্মী আরাধনাই সবচেয়ে বড় পরব। ধনদেবীর আড়ম্বরপূর্ণ আবাহনের কারণেই বর্তমানে জোকা গ্রাম লোকমুখে ‘লক্ষ্মী গ্রাম’ হিসাবেই পরিচিত। গ্রামে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২০/২৫টির মত বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজো কমিটি থিমের মোড়কে তাদের মন্ডপ সাজিয়ে তোলে। এমনকী প্রতিটি মণ্ডপের আভিনব প্রতিমা দেখতে প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী ভিড় জমান এই গ্রামে। যদিও এই বছর করোনা আতঙ্কে অনেক পুজো কমিটিই তাদের বাজেট কাটছাঁট করায় থিমের আধিপত্য অনেকটাই কমেছে এই গ্রামে। তবে যে ক’টি পুজো কমিটি থিমের মোড়কে তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে, তাদের মধ্যে সৃষ্টি ক্লাব অন্যতম। এই পুজো কমিটির থিম এবার করোনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচতে লক্ষ্মীদেবী এবার গৃহবধূ রূপে হাজির মণ্ডপে। যেখানে তিনি মানুষকে তুলসিপাতা, মধু ও গোলমরিচ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। পুজো উদোক্তাদের বক্তব্য, করোনার হাত থেকে বাঁচতে সরকারি নির্দেশ মানা ছাড়াও কিছু টোটকা খাওয়ার বিধান দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আর সেই বার্তাই আমরা মণ্ডপে তুলে ধরেছি। মণ্ডপে তুলসি গাছ ছাড়াও মধু, গোলমরিচও রাখা থাকছে। অন্যদিকে জোকা ইন্টারন্যাশানাল ক্লাবের পাটকাঠি ও ছই দিয়ে তৈরি মণ্ডপও চমক দিয়েছে এই গ্রামে। এছাড়াও জোকা প্রেমিক সঙ্ঘ, পাওয়ার সঙ্ঘ, নেতাজি সঙ্ঘ, জুনিয়ার স্টার, সাথী হারা, ভাইভাই সঙ্ঘ, নবজাগরণ ক্লাবের মণ্ডপ ও প্রতিমা এবার দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। বাগনানের একটি লক্ষ্মীপ্রতিমা।-নিজস্ব চিত্র