বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
খুনের ঘটনাটি ঘটে অষ্টমীর রাতে। গুলিতে নিহত কিঙ্কর মাজি ছিলেন দলের মণ্ডল সহসভাপতি। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বাগনান বিধানসভা এলাকায় বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। প্রচুর পুলিস ছিল। নামানো হয় র্যাফ। ছিল জল কামান। এদিন সকালে বন্ধের সমর্থনে বিজেপি সেভাবে রাস্তায় নামেনি। কিন্তু বন্ধ বিরোধিতায় তৃণমূল ব্যাপকভাবে পথে নামে। অন্যদিকে, বাগনান রথতলায় বোমা-সহ জমায়েত করার অভিযোগে পুলিস ৬ বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের শাস্তির দাবিতে বাগনান থানায় বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অন্যদিকে, বিকেলে নিহত বিজেপি নেতার বাড়ি যাওয়ার পথে লাইব্রেরি মোড়ে পুলিসের বাধার মুখে পড়েন এমপি সৌমিত্র খাঁ। পুলিসের সঙ্গে বচসা চলে কিছুক্ষণ। তারপর ধৃত বিজেপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এমপি থানায় যান।
এদিকে, সৌমিত্র খাঁ থানায় যাওয়ার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় বাগনানে। ধৃত দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে গার্ডরেল উল্টে ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এমনকী একসময় বিক্ষোভকারীরা থানায়ও ঢোকার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিসের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিস লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে। তখন বিক্ষোভকারীরা রণে ভঙ্গ দেন। এদিকে, এদিন বাগনান থানা থেকে বেরিয়ে সৌমিত্র খাঁ চন্দনাপাড়ায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের মেয়ে ও ভাইকে নিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপারের অফিসে যান। পরে তিনি অতিরিক্ত পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করেন।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, বাগনানের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে এবং আগামী তিনদিন হাওড়া জেলাজুড়ে বিজেপি বিভিন্ন থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হবে। বিষয়টি রাজ্যপালকে জানানো হবে। বাগনান থানার আইসি-র বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে এবং আদালতেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি এমপি।
অন্যদিকে, বিজেপির ডাকা বন্ধ সর্ম্পকে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, সাধারণ মানুষ বন্ধে কোনওরকম সাড়া দেননি। কারণ, সকলে জানেন, দীর্ঘদিন ধরে কিঙ্কর মাজি ও পরিতোষ মাজির মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। একটি মৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে হাওড়া জেলার পুলিস সুপার (গ্রামীণ) সৌম্য রায় জানান, বিভিন্ন অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিঙ্কর মাজির মৃত্যুর ঘটনায় দুই অভিযুক্তের খোঁজে পুলিসি তল্লাশি চলছে।