কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই পরিবার ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর আগে হাওড়ার ভৈরব দত্ত লেনের বাসিন্দা তাপসের সঙ্গে মেদিনীপুরের বাসিন্দা শ্রীলেখাদেবীর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাপস তার স্ত্রীর উপরে অত্যাচার শুরু করে। এ বছর লকডাউনের কিছু আগে অত্যাচার মাত্রা ছাড়ালে শ্রীলেখা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার জেরে কিছুদিন জেলে ছিল তাপস। এরপরই হাওড়ার গোলাবাড়ির ১৮৮ নম্বর ত্রিপুরা রায় লেনে পারিবারিক একটি ফ্ল্যাটে তিনি চলে আসেন। তিনি সেখানেই তাঁর পরিবারের একাংশের সঙ্গে থাকতেন। পাশাপাশি তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্যই স্ত্রীর উপরে চাপ দিচ্ছিল তাপস। রাজি হননি শ্রীলেখা।
শ্রীলেখাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি যেখানে থাকতেন তার কাছেই একটি বাড়িতে তাঁর একজন মাসি থাকেন। বুধবার টুম্পা মিত্র নামে সেই মহিলার সঙ্গে দেখা করে তাপস। তাঁকে সে রীতিমতো ধমকধামক দিয়ে বলে, শ্রীলেখা যেন মামলা তুলে নেন। কোনওরকমে তাপসকে বুঝিয়ে তিনি ফেরত পাঠান। কিন্তু তাপস বাড়ি না-ফিরে সোজা শ্রীলেখার ফ্ল্যাটে চলে আসে। কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খোলেন শ্রীলেখাই। সেই সময় বাড়িতে তাঁর মা, দিদিমা ও ভাই ছিলেন। অভিযোগ, দরজা খুলতেই শ্রীলেখার মুখ চেপে ধরে তাপস। তারপর ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। তাঁর পরিবারের লোকজন আটকাতে এলে তাঁদের উপরেও হামলা করে উন্মত্ত তাপস। ততক্ষণে প্রতিবেশীরা চলে আসেন। তাঁরাই তাপসকে ধরে ফেলেন। ঘটনার কথা ভেবে এখনও শিউরে উঠছেন শ্রীলেখা। তিনি বলেন, ‘বহু বছর ধরেই ও নির্যাতন করে যাচ্ছে। এখনও চোখ বন্ধ করলেই সেদিনের ছবি ঘুরে ফিরে আসছে।’ মাসি টুম্পাদেবী বলেন, সেদিন যে ও এই কাণ্ড ঘটাবে, ভাবতেও পারিনি। তা হলে ওকে বাড়িতেই আটকে রাখতাম। বা শ্রীলেখাকে সতর্ক করে দিতাম।’