কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওই মহিলা পুলিসকে জানিয়েছেন, ২২ বছর আগে ওয়াহিদ আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামী ব্যবসা করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। প্রতিবাদ করলে মারধরের মাত্রা বেড়ে যেত। স্বামীর এই অত্যাচারের কথা তিনি তাঁর এক বন্ধুকে জানান। এমনকী মারধরের সেই ছবি মোবাইলে তুলে পাঠিয়েও ছিলেন। এরপর সেই বন্ধু বিভিন্নভাবে তাঁকে সাহায্য করেন। মহিলা ওই বন্ধুর বাড়িতেও যেতেন। সেখানে তিনি যাতায়াত শুরু করায় সেই বন্ধুকে সন্দেহ করতে শুরু করে ওয়াহিদ। সে জানতে পারে, স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে। এরপর স্ত্রীর উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অশান্তি চরমে ওঠে। বুধবার স্বামী বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই মহিলা তাঁর বন্ধুর বাড়িতে যান। সন্ধ্যায় আচমকা স্ত্রীকে ফোন করে ওয়াহিদ। জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোথায়? স্ত্রী জানান, তিনি ওই বন্ধুর বাড়িতে এসেছেন। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাবেন। কিন্তু তাঁর ফিরতে একটু রাত হয়।
পুলিসের কাছে ওয়াহিদের স্ত্রীর দাবি, বাড়িতে ঢোকামাত্র স্বামী অশান্তি শুরু করেন। এনিয়ে তর্কও হয়। এরমধ্যেই বেডরুমে ঢুকে গেলে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ওয়াহিদ। তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়। তবে গুলি চালালেও সেটি কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এরপরই চম্পট দেয় ওয়াহিদ। গভীর রাতে তিলজলা থানায় গিয়ে ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, গুলি চালানো সহ একাধিক অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস খুনের চেষ্টা, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, বধূ নির্যাতন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে। ওই বাড়িতেও যায় পুলিস। ঘরে গুলির দাগ মিলেছে। বাথরুমের কাছ থেকে দুটি লাইসেন্সহীন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অনেক দিন আগেই এগুলি কেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুনের উদ্দেশ্যেই এগুলি কেনা হয়েছে। ওয়াহিদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কে তাকে এই অস্ত্র এনে দিয়েছিল এবং কত টাকায় কেনা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা। ওয়াহিদের মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।