গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের ছোট-বড় ১৬টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলেছে। সেখান থেকে গত তিন-চার দিনে প্রায় ৭০০০ মেট্রিক টনেরও বেশি জঞ্জাল তুলতে হয়েছে। শুধুমাত্র প্রতিমা জলে ফেলার পর কাঠামো-সহ অবশিষ্টাশের পরিমাণ এটাই। গত কয়েক বছর ধরেই পরিবেশ দূষণরোধে গঙ্গায় প্রতিমা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে, অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন ঘাটে থাকে ক্রেন। সেইসঙ্গে ময়লা তুলে নিয়ে ধাপায় ফেলার জন্য ডাম্পার। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগ সূত্রের খবর, চলতি বছর গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় দেড়শোটি ডাম্পার কাজ করেছে। প্রতিটি ডাম্পার খেটেছে রোজ তিন ট্রিপে। রোজ প্রতিটি ডাম্পার প্রায় ১৫ টন কাঠামো নিয়ে গিয়ে ফেলেছে। ফলে, সেই হিসেব ধরলে চার দিনে ধাপায় অতিরিক্ত ৭০০০ মেট্রিক টনেরও বেশি কাঠামো বর্জ্য ফেলা হয়েছে। স্বাভাবিক সময় শহরে রোজ গড়ে ৫০০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল জড়ো হয়। পুজোর চারদিনে সেটা আরও বাড়ে। তার উপর অতিরিক্ত জমা হয় কাঠামোর অংশবিশেষ। প্রতি বছরই কমপক্ষে ১০-১২ হাজার কাঠামো ধাপায় জড়ো করা হয়। এবছর কিছুটা কম হয়েছে। অন্যদিকে, পুজোর সময় শহর কলকাতায় অতিরিক্ত মানুষের ভিড় হয়। ফলে এমনিতেই নিত্যদিনের আবর্জনার পরিমাণ বাড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অতিরিক্ত পূজাবর্জ্য জড়ো হয়েছে ধাপায়। এমনটাই দাবি অফিসারদের।
এক পুরকর্তা বলেন, ধাপায় এখন জায়গার অভাব। পুরসভা নতুন জমির খোঁজ করছে। কিন্তু এত বিশাল পরিমাণ কাঠামোর জঞ্জাল অন্য কোথাও ফেলা সম্ভব নয়। তাই ধাপা ছাড়া গতিও নেই। একদিকে নিত্যদিনের শহরের ময়লা আবর্জনার চাপ, তার উপর এই কাঠামোর বর্জ্যের পাহাড়! সব মিলিয়ে নাজেহাল ধাপা। গঙ্গার ঘাট থেকে তোলা হচ্ছে প্রতিমার বর্জ্য। -নিজস্ব চিত্র