উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লখনউ থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন এক দম্পতি। তাঁদের সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। একজনের বয়স ছয় বছরের কাছাকাছি, অন্যজনের আট। বিমানবন্দরের প্রিপেইড বুথ থেকে ট্যাক্সি নিয়ে তাঁরা রওনা দেন দক্ষিণেশ্বর লাগোয়া আলমবাজারের দিকে। কিন্তু ট্যাক্সিতে উঠতেই ঘুমিয়ে পরে বছর ছয়ের শিশুটি। আলমবাজারে পৌঁছনোর পর দম্পতি এক সন্তানকে নিয়ে নেমে পড়েন ট্যাক্সি থেকে। আরেক সন্তান যে ট্যাক্সিতেই ঘুমিয়ে, তা খেয়ালই করেননি তাঁরা। অভিযোগ, তাঁরা নাকি ব্যাগপত্র নামাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর ট্যাক্সি ছেড়েও দেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে আলমবাজার থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দেন ওই ট্যাক্সিচালক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পর ওই দম্পতির হুশ ফেরে যে, ছেলে ট্যাক্সিতেই রয়ে গিয়েছে। তখন ছেলে উদ্ধারে তৎপর হয়ে ওঠেন তাঁরা। প্রিপেইড ট্যাক্সি বুথের স্লিপে থাকা ফোন নম্বর মারফত যোগাযোগ করেন বিধাননগর ট্রাফিক পুলিসের কন্ট্রোল রুমে। তারপর ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে দেন ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিকরা।
এদিকে, ততক্ষণে ট্যাক্সিচালক এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেটের কাছাকাছি চলে এসেছেন। হঠাৎ তাঁর নজর পড়ে, শিশুটি গাড়িতেই তখনও ঘুমিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় পুলিসের কাছে সবকিছু জানানোর কথাই ঠিক করেন চালক। ঘটনাচক্রে তখনই ট্রাফিক পুলিসের কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন আসে ট্যাক্সিচালকের কাছে। তিনি পুলিসকর্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, শিশুটি এখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রাফিক পুলিসগার্ডের অফিসে পৌঁছচ্ছি। সেই মতো শিশুটির পরিবারকেও ট্রাফিক গার্ডের অফিসে আসতে বলা হয়।
ট্রাফিক পুলিসের আধিকারিকরা শিশু ও তাঁর বাবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। সন্তানের বাবাকে চিনতে পারেন ট্যাক্সিচালক। রাত ন’টা নাগাদ শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় বাবার হাতে। ডিসি ট্রাফিক ধৃতিমান সরকার বলেন, ট্যাক্সিচালক ঠান্ডা মাথার পরিচয় দিয়েছেন। এনসিবিআই ট্রাফিক পুলিসও দ্রুত কাজ করেছে। ফেসবুকে এই ঘটনা বিধাননগর সিটি পুলিস তুলে ধরার পর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষজন। সেখানে বলা হয়েছে, সন্তানের বাবা-মা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। আর কুর্নিশ জানানো হয়েছে ট্যাক্সিচালকে। ট্যাক্সিচালকের কথায়, বাবা-মায়ের অবস্থা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। এখন নিশ্চিন্ত বোধ করছি।