রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পাশাপাশি পুলিস কমিশনার এদিন খুন হওয়া বিষ্ণুর বাড়িতেও যান। সেখানে বিষ্ণুর বাবা, মা’কে তিনি বিশালকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ যে বিষ্ণুরই, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস। বুধবারই দেহাংশ কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, বিশাল দাসকে আমরা সর্বত্র খুঁজছি। যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, পার পাবে না। বিষ্ণুকে অপরহরণ করা থেকে খুন পর্যন্ত সবটাইতেই ও পুরোপুরি যুক্ত ছিল। আমরা সমস্ত সম্ভাব্য জায়গায় তল্লাশি করছি। যে ঘটনা ও ঘটিয়েছে, তার উপযুক্ত শাস্তিই সে পাবে।
গত ১০ অক্টোবর চুঁচুড়ার কামারপাড়ায় বিষ্ণুর বাড়ির সামনে থেকেই তাঁকে অপহরণ করে বিশাল। তার পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদেই বিষ্ণুকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার দিন বিশাল নিজে এসে বিষ্ণুকে জিজ্ঞাসা করে, পছন্দের মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক কী। বিষ্ণুর উত্তরে সে সন্তুষ্ট হয়নি। তারপরেই মেয়েটিকে ফোন করায়। বিষ্ণুকে সে ওই কিশোরীকে ভালবাসার কথা বলতে বলে। বাধ্য হয়ে বিষ্ণু তা বলেও। তাতে কিশোরীর প্রতিক্রিয়া শুনে সে দু’জনের সম্পর্ক বুঝে যায়। তারপরেই একটি বাইকে চাপিয়ে বিষ্ণুকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বিশাল। এরপর প্রায় ১৫ দিন বিষ্ণুর কোনও হদিশ মেলেনি। ঘটনার তদন্তে নেমে নবমীর দিন রাতে বিশালের এক সঙ্গীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তারপরেই বৈদ্যবাটির একটি ভাড়া বাড়ির সন্ধান মেলে। সেখান থেকে আরও একজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তারপরেই বিষ্ণুকে খুন করা ও মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসার নারকীয় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
তবে গত ১০ অক্টোবর অপহরণের দিন থেকে এখনও পর্যন্ত বিশালের হদিশ করতে পারেনি পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহরণের দিনই বিষ্ণুকে খুন করা হয়েছিল। সেটাও প্রথমে আঁচ করতে পারেনি পুলিস। যে কারণে তদন্তে কিছুটা ফাঁক তৈরি হয়েছিল। বিষ্ণুর খুনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে পুলিস এবার সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে। বিশালের বেশ কিছু ডেরা চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য কিছু ঠিকানার সূত্রও পুলিস পেয়েছে। বছর পঁচিশের ওই দুষ্কৃতীকে ধরতে নানা ধরণের পদক্ষেপ করছে পুলিস। চন্দননগর কমিশনারেটের এক পুলিসকর্তা বলেন, পুলিস কমিশনার কার্যত নিজেই তদন্ত করছেন। ফলে, তদন্ত এমনিই অন্য মাত্রা পেয়েছে।